এখন থেকে এভাবেই খেলবে বাংলাদেশ
১০ মার্চ ২০২০ ১৯:০৯
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শুরু থেকেই আধিপত্য-বিস্তারকারী ক্রিকেট খেলে আসছে টিম টাইগার্স। যার শুরুটা হয়েছিল একমাত্র টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের মধ্য দিয়ে। আধিপত্যের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি সিরিজেও। ওয়ানডে সিরিজে সফরকারীদের করেছে হোয়াইটওয়াশ। টি টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটাও করেছে অসাধারণ। দলের যে মোমেন্টাম যাচ্ছে ধরেই নেওয়া যায় দ্বিতীয় টি টোয়েন্টিতেও শন উইলিয়ামসরা স্রেফ উড়ে যাবেন! কিন্তু এরপরের সিরিজগুলোতে কি হবে? আগামী মাসেই তৃতীয় দফায় যাচ্ছে পাকিস্তান সফরে। এরপরে আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কাও নিউ জিল্যান্ডের মত দল তাদের প্রতিপক্ষ। সেই ম্যাচগুলোতে কী এক মাস আগের নড়বড়ে বাংলাদেশ ফিরে আসবে? না, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ওই ম্যাচগুলোতেও এমন দাপুটে বাংলাদেশকেই দেখা যাবে বলে হুঙ্কার দিলেন দলের তরুণ অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান।
রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি টাইগাররা জিতে নিয়েছে ইনিংস ও ১০৬ রানে। যেখানে ব্যাটে বলে সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছে মুমিনুল হক অ্যান্ড কোং। ব্যাটিংয়ে রানের ঝর্ণাধারা ঝরেছিল সময়ের দেশ সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। চওড়া ব্যাটে ডাবল সেঞ্চুরিতে (অপরাজিত ২০৩) আরেকবার নিজের জাত চিনিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। সেঞ্চুরির নামক জাদুকরি তিন সংখ্যার দেখা পেয়েছিলেন অধনিায়ক মুমিনুল হকও (১৩২)। তাতে প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ৬/৫৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ডমিঙ্গ শিষ্যরা। বাদবাকি কাজটি করে দিলেন টাইগার বোলাররা। নাইম, তাইজুল ঘূর্ণিতে চতুর্থ দিনের চা বিরতির আগেই ১৮৯ রানে গুটিয়ে গেল ক্রেইগ আরভিনদের দ্বিতীয় ইনিংস। আর স্বাগতিক শিবিরে ধরা দেয় গর্বের ইনিংস জয়।
টেস্ট শেষে ওয়ানডে সিরিজেও একই বিক্রমে খেলেছে মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। লিটন, তামিমদের উড়ন্ত ব্যাটে তিন ম্যাচ সিরিজের তিনটিতেই ৩২১ গড়ে রান তুলেছে স্বাগতিক দল। লিটন, তামিম দুজনই দুটি করে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল ১৫৮ রান করে ভেঙেছেন নিজের আগের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। পরের ম্যাচেই তা ভেঙে দেন লিটন দাস। অনবদ্য ১৭৬ রানের ইনিংস খেলে দেশের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড গড়েন।
দুই ম্যাচ সিরিজের টি টোয়েন্টির প্রথমটিতেও হলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রানের রেকর্ড। গেল বছর চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭৫ রানই ছিল লাল সবুজের দলীয় সর্বোচ্চ। যা গতকাল লিটন, তামিম ও সৌম্যর ঝড়ো ব্যাটে ভেঙে গেল। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাহমুদউল্লাহরা সংগ্রহ করল ২০০ রান। বলার অপেক্ষাই থাকছে না, প্রতিটি ফর্মেটেই অলআউট ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) টেম হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মেহেদি হাসান এমন হুঙ্কার দেন।
তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজে ড্রেসিংরুমে আসার পর থেকে এটাই শুনতেছি সিনিয়ররা আলোচনা করছিল এখন থেকে যে সিরিজগুলো হবে আমরা এভাবে আধিপত্য বিস্তার করে খেলার চেষ্টা করবো। সেক্ষেত্রে যাই হোক, রিয়াদ ভাই ইতিবাচক কথাবার্তা বলছিলেন ড্রেসিং রুমে। খুব সাহসী মানসিকতা নিয়ে নির্ভীক ক্রিকেট খেললে ইনশাআল্লাহ সামনের দিনগুলোতে যে সিরিজগুলো আছে, এখন যেটা খেলতেছি সবগুলো হয়তবা ভালো হবে।’