রেকর্ড গড়ে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ
১১ মার্চ ২০২০ ২১:০০
বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের ২য় ম্যাচে বুধবার (১১ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলায় মুখোমুখি দুই দল। টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৯ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ১২০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের যৌথ সর্বোচ্চ উইকেটের ব্যবধানে জয়।
এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর বুধবার (১১ মার্চ) জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ২৫ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। আর তাতেই দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল।
মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীর গতিতেই করেই দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস এবং মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তবে পাওয়ার প্লে’র শেষ দিকে এসে ব্যাট ছোটাতে শুরু দুই ব্যাটসম্যানই। ৮ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই দলীয় অর্ধশতক তুলে নেন তারা। আর পূর্ণ করেন পঞ্চাশ রানের জুটিও। দুর্দান্ত শুরু করে দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন দুই ওপেনার।
তবে ইনিংসের ১১তম ওভারে এমপফুকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনাশির হাতে মিড অনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। দলীয় ৭৭ রানে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে ফেরেন নাঈম। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫টি বাউন্ডারি হাঁকান নাঈম। উইকেটের অন্য প্রান্তে রানের ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন লিটন। টানা দুই টি-টোয়েন্টিতে তুলে নেন অর্ধশতক। ৩৫ তম বলে সাত বাউন্ডারিতে তুলে নেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের চতুর্থ অর্ধশতক। এটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিটনের টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক।
নাঈম ফিরলে উইকেটে আসেন সৌম্য সরকার। শেষ পর্যন্ত ২ ছয়ে ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য সরকার। আর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাস অর্ধশতক করে শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৬০ রান করে দলকে বড় জয় এনে দেন। লিটনের ইনিংসে কোনো ছয়ের মার না থাকলেও ছিল ৮টি চার। জিম্বাবুয়ের হয়ে একমাত্র উইকেটটি তুলে নেন ক্রিস এমপফু।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে ওপেনার তিনাশিকে (১০) আল-আমিন তুলে নেন দলীয় ১২ রানেই। এরপর আরভিনকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলর। তবে ইনিংসের ১২তম ওভারে আফিফের বলে আরভিন (২৯) ফিরলে ভাঙে ৫৭ রানের জুটি।
এরপরের ওভারেই মেহেদি হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন শন উইলিয়ামস (৩), যখন ফেরেন তখন স্কোরবোর্ডে রান সংখ্যা ৭৬। এরপরে সাইফউদ্দিন ইনিংসের ১৬তম ওভারের ৫ম বলে তুলে নেন সিকান্দার রাজাকে (১২)। পরের ওভারে বল করতে এসে মুতুম্বামিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান আল-আমিন। তখন জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৭ রান।
১৯তম ওভারে মুতোমবোদজিকে(৩) নিজের প্রথম শিকার বানান মেহেদি। আর এই ওভারেই মাধেভেরকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন কাটার মাস্টার। অন্যরা যাওয়া আসার মিছিলে থাকলেও উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে অর্ধশতক তুলে নেন টেইলর। শেষ পর্যন্ত টেইলর অপরাজিত থেকেন ৪৮ বলে ৫৯ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ২৫ আর আল-আমিন দেন ২২ রান। এছাড়া আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।