অভিষেকেই চার গোলে ঢাকার মাঠ মাতালেন মেসির সতীর্থ
১২ মার্চ ২০২০ ০৭:০৪
ঢাকা: যেন আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন। না এতটুকু বেশি বলা হচ্ছে না। এমন পারফরম্যান্সের পর বিশেষণ দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। যে হাইভ নিয়ে দেশে এসেছিলেন মেসির সঙ্গে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠ কাঁপানো ফুটবলার হার্নান বার্কোস ঠিক যেন সেই ম্যাজিক ছুঁয়ে দিলেন দেশের ফুটবল সমর্থকদের।
বয়স ৩৫। এএফসি কাপকে সামনে রেখে বয়স্ক বার্কোসকে এনে ভুল করলো না বসুন্ধরা কিংস? এমন বয়সে মেসির এই সতীর্থ কেমন খেলবেন সেটাই দেখার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে ছিলো সমর্থকরা। তার উপর নতুন মাঠ। নতুন দল। অভিষেক ম্যাচটা যে এমনভাবে রাঙাবেন তা হয়তো অনেকের কাছে অসম্ভবই মনে হবে।
হার্নান প্রমাণ করেছে বয়স তার কাছে শুধুই সংখ্যা। স্কিল, দূরদর্শিতা, ক্ষীপ্রতা কোনটারই কমতি ছিল বার্কোসের। বলতে গেলে একাই অভিষেক ম্যাচে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে উড়িয়ে দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন। ৫-১ ব্যবধানের কিংসের চার গোল একাই করেছেন বার্কোস। সঙ্গে তার বদান্যতায় লিগে নিজের ছাঁয়া হয়ে থাকা কিংস এএফসি কাপে অভিষেক করলো ইতিহাস রচনা করে। অভিষেকেই এএফসি কাপে এত বড় জয় দেখেনি বাংলাদেশের কোনও ফুটবল ক্লাব।
ম্যাজিকের গল্পটা বলা যাক। ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই গ্যালারিতে আসা হাজার চারেক দর্শককে আনন্দে ভাসিয়েছেন বার্কোস। কিরগিস্তানের দুইশরেকভের ক্রসে দারুণ এক হেড নিয়ে স্বাগতিকদের ১-০ তে এগিয়ে নেন মেসির সাবেক সতীর্থ। এই আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিনিট দুই পরই সমতায় ফেরে টিসি স্পোর্টস।
তবে এরপর আর আনন্দের উপলক্ষ্য খুঁজে পায়নি মালদ্বীপের ক্লাবটি। সেটা পুরোপুরি বার্কোসের গোল অবদানের কারণেই। ২৫ মিনিটে বসুন্ধরাকে ফের এগিয়ে নেন বার্কোস।
দ্বিতীয়ার্ধেও নায়ক বার্কোস। ৬৭ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় বসুন্ধরা, স্পট কিকে কিংসের জার্সিতে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন বার্কোস।
মাঠ ছাড়তে ছাড়তে আরেকটা ম্যাজিক গোলও করে ফেলেন এই আর্জেন্টাইন। ঠাণ্ডা মাথার খুনি বলা যেতেই পারে। যোগ করা সময়ে অরক্ষিত জায়গায় বল পেয়ে একেবারে ঠাণ্ডা মাথায় চিপ করে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বলটাকে জালে পুড়েন বার্কোস। তার এই গোলে শেষ পর্যন্ত ৫-১ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বসুন্ধরা কিংস।
কলিনদ্রেসের বেতন ছাপিয়ে সবচেয়ে বেশি দামে বার্কোসকে কেনার প্রতিদান পাচ্ছে কিংস। যেন দু’হাত ভরে দিচ্ছেন। আরও দেবেন সেটা কিংসের সুখী পরিবার দেখলেই বুঝতে কষ্ট হয় না।
সারাবাংলা/জেএইচ