অভিষেকেই মুশফিকের উড়ন্ত সেঞ্চুরি
১৫ মার্চ ২০২০ ১৪:০০
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে এই প্রথম আবাহনীর জার্সি গায়ে নামলেন মুশফিকুর রহিম। নেমেই করলেন বাজিমাত। ১২৪ বলে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খেললেন ১২৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। তাতে শুরুর দৈন্য দশা কাটিয়ে আবাহনী পেল ৭/২৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। জিততে হলে প্রতিপক্ষ পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের চাই, ৫০ ওভারে ২৯০ রান।
রোববার (১৫ মার্চ) মিরপুর শের ই বাংলায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল করতে পারেনি টিম আবাহনী। রনি, জয়নুলদের আক্রমনাত্মকে বোলিংয়ে ৬৭ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চলে যায় পুরোপুরি ব্যাক ফুটে। ঠিক তখন ত্রাতার ভুমিকায় অবতীর্ণ হন, মুশি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে সঙ্গে নিয়ে খেলেন ১৬০রানের অবিচ্ছিন্ন এক ইনিংস। তাতে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে পৌঁছে দেন ২২০ রানের কোঠায়। এর মধ্যে নিজে তুলে নেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের ১৩তম শতক। শতকটি হাঁকাতে তিনি বল খেলেছেন ১১১টি।
তবে এখানেই থামেননি দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং রথ ছুটিয়েছেন আরো বড় সংগ্রহের দিকে। ইনিংসের শেষ বলটি পর্যন্ত উইকেটে থাকলে হয়ত সেটা অসম্ভবও ছিল না। কিন্তু হয়নি। জহুরুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন রনি হোসেনের হাতে। তবে ক্রিজ ছেড়ে যাওয়ার আগে নামের পাশে যোগ করেছেন ১২৭ রান। যা সংগ্রহে তিনি চার মেরেছেন ১১টি ও ৬ চারটি। ১০২.৪১ স্ট্রাইক রেটে তিনি এ রান তুলেছেন।
এর মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়া লিগে তিন বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশি। তার সব শেষ শতকটি এসেছিল ২০১৭ সালে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের হয়ে।
আবাহনীর হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন মোসাদ্দে হোসেন সৈকত। আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটে ১৫ বল থেকে এসেছে ৩৯ রান।
তাদের এই সংগ্রহের ওপর ভর করেই ৭ উইকেটে ২৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আ্কাশী নীল জার্সিধারীরা।
পারটেক্সের হয়েবল হাতে জয়নুল ইসলাম ৩টি, তাসামুল হক ২টি, শাহবাজ চৌহান ও রনি হোসেন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।