সেদিন আঁতকে উঠেছিল সারাদেশ
১৫ মার্চ ২০২০ ২১:০৩
১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার -নিউজিল্যান্ডে তখন মধ্যদুপুর। একদিন পর ক্রাইস্টচার্চে টেস্ট খেলতে নামার কথা বাংলাদেশ দলের। ম্যাচের আগের দিন তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের অনুশীলন ছিল হ্যাগলি ওভালে। কথা ছিল অনুশীলন শেষে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে জুমার নামায আদায় করে হোটেলে ফিরবে দল। সেদিন ঠিক সময়ে যদি আল নুর মসজিদে পৌঁছে যেতেন তামিম, মুশফিক, রিয়াদরা? ভাবতেই ভেতররা আঁতকে উঠে!
সেদিন আল নুর মসজিদে জুমার নামাযের সময় মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় এক সন্ত্রাসী। প্রাণ হারায় অর্ধশতাধিক মানুষ। সেদিন নির্ধারিত সময়ের পর মসজিদে পৌঁছে বাংলাদেশ দলকে বহনকারী বাসটি। এই দেরি করাটাই বাঁচিয়েছে ক্রিকেটারদের।
বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা মসজিদের সামনে বাস থেকে নামতে যাওয়ার আগে দেখতে পান রক্তাক্ত শরীরে মসজিদ থেকে বেড়িয়ে লুটিয়ে পড়লেন এক নারী। চিৎকার করে বলছিলেন, ‘ওদিকে যেও না তোমরা, গোলাগুলি হচ্ছে…।’ ঘটনা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা।
সেদিন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মসজিদে ঢোকার কথা ছিল স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায়। কিন্তু অনুশীলন শেষে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে দেরি করে ফেলেন। সংবাদ সম্মেলনই শেষ হয় ১টা ৪০ মিনিটে। এই দেরিটা না হলে হামলার সময় বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা হয়তো মসজিদের ভেতরেই থাকতেন!
তামিম, মুশফিকদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মী ছিল না, কোন লিয়াজোঁ অফিসারও ছিল না। অবরুদ্ধ বাস থেকে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা রক্তাক্ত মানুষদের শরীর পড়ে থাকতে দেখছিলেন। আতঙ্কিত ক্রিকেটাররা সেখান থেকে পার্কের ভেতর দিয়ে পায়ে হেঁটেই হ্যাগলি ওভালের মাঠে ফিরে যান। ড্রেসিংরুমে বসে সেদিন হু হু করে কেঁদেছিলেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজরা।
সিরিজ বাতিল করে ওই দিনই দেশের বিমান ধরেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। আজ ঠিক এক বছর পূর্ণ হলো ভয়াঙ্কর সেই সময়ের।
এমন দিন আর না ফিরুক কোন দিন।
ক্রাইস্টচার্চ ক্রাইস্টচার্চ সন্ত্রাসী হামলা ক্রাইস্টচার্চে নিহত বাংলাদেশি তামিম ইকবাল