গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সামনে সহজ লক্ষ্য
১৬ মার্চ ২০২০ ১৬:০৭
ঢাকা: ডিপিএল মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই জয়ের হাতছানি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সে। কেননা দলটিকে আহামরি কোনো লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। জিততে হলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের প্রয়োজন ২৫২ রান। তবে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা দলটিকে অলআউট করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদরা। সংগ্রহটি পেতে তাদের খরচ করতে হয়েছে ছয়টি উইকেট।
অথচ সোমবার (১৬ মার্চ) টস জিতে বোলিংয়ে নেমে শুরুটা উড়ন্তই করেছিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। রানের খাতা খোলার সুযোগ না দিয়ে ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে শূন্যহাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে দ্বিতীয় উইকেটে রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে বড় সংগ্রহের পথে ব্যাটিং রথ ছোটাতে চেয়েছিলেন দলপতি তামিম ইকবাল। কিন্তু সেখানে বাঁধ সাধেন নাসুম আহমেদ। ব্যক্তিগত ১৯ রানে দেশ সেরা এ ব্যটসম্যানকে তুলে দেন নাসুম আহমেদের হাতে। প্রাইম ব্যাংকের দলীয় সংগ্রহ তখন ৪৬ রান।
তামিমের ফেরায় রনিকে সঙ্গ দিতে তৃতীয় উইকেটে এসেছিলেন রকিবুল হাসান। বিধিবাম হলে যা হয়। কেননা তিনিও উইকেট আঁকড়ে থাকতে পারেননি। দলের সঙ্গে ৯ রান যোগ করেই নাসুমের দ্বিতীয় শিকার বনে যান। যাওয়ার আগে নামের পাশে যোগ করেন ৫ রান।
চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় শত রানের কোটা পার করেন রনি তালুকদার। দুজনের চোয়ালবদ্ধ ব্যাটিং প্রাইম ব্যাংককে আরও বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখাচ্ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে দেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ১১০ রানে মিঠুনকে এলবি’র ফাঁদে ফেলে জানান দেন, এতটা সহজ নয়। আরো কাঠখড়ি পোড়াতে হবে। ২৭ রানে ইনিংসের ফুলস্টপ টেনে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন মিঠুন।
মিঠুন ফেরার পর নিজের ফিফটি তুলে শতকের পথে ব্যাট ছোটান সেট ব্যাটসম্যান রনি তালুকদার। কিন্তু পারেননি। ব্যক্তিগত ৭৯ রানে মাহমুদউল্লাহ তাকে ক্লিন বোল্ড করে দলকে ম্যাচে ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চার ওভার পরে আবার আঘাত হানেন মাহমুদউল্লাহ। এবারের শিকার অলোক কাপালি। ব্যক্তিগত ১৭ রানে তাকে মেহেদি হাসানের হাতে তুলে দিলে প্রাইম ব্যাংকের গুটিয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপারে হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু সেই সময়কে থমকে দেন মিডল অর্ডার নাহিদুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। তাদের ৯৬ রানের জুটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫১ রানের সংগ্রহ পায় তামিম ইকবাল ও তার দল।
৪৩ বলে নাহিদুল অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে। আর নাঈম হাসান ৩৬ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৪৬ রানে।