মাশরাফি-আশরাফুল ব্যর্থ, শেখ জামাল সফল
১৬ মার্চ ২০২০ ২১:৩৩
‘দোস্ত চল, এবার একদলে খেলি’ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা কোন একদিন ফোন করে মোহাম্মদ আশরাফুলকে এভাবে বলেছিলেন। দুই বন্ধুর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে যাওয়া সেভাবেই শুরু। পরে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) জন্য শেখ জামালের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি হয়ে যায় মাশরাফি-আশরাফুলের। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম দুই বন্ধু প্রিমিয়ার লিগে এক দলের হয়ে খেলছেন। শুরুটা অবশ্য ভালো হলো না।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ডিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সোমবার (১৬ মার্চ) খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির মুখোমুখি হয় শেখ জামাল। ওপেনিংয়ে নেমে ১৪ বলে ৩ রান করে আউট হয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। মাশরাফি সাতে নেমে ৭ বলে ১ রান করার পর সাত ওভার বোলিং করে ৩৪ রান খরচায় উইকেটশূন্য।
তবে আশরাফুল-মাশরাফি সফল না হলেও শেখ জামাল দারুণ এক জয় পেয়েছে। খেলাঘরকে ৫৫ রানে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
আশরাফুলের ব্যর্থতার দিনে শেখ জামালের অপর ওপেনার সৈকত আলী দারুণ এক ফিফটি পেয়েছেন। মাশরাফি-আশরাফুলের নেতা নারুল হাসান সোহান এবং নাসির হোসেনও মিডল অর্ডারে নেমে ফিফটি তুলে নিয়েছেন। তিন ফিফটিতে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭৬ রানের সংগ্রহ পায় শেখ জামাল।
সৈকত সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেছেন ৭৯ বল খেলে। তার ইনিংসে চারের মার ১০টি, ছক্কা ২টি। সোহান ৬৭ বলে ৫৮ ও নাসির ৫৭ বলে ৫৬ রান করেন। খেলাঘরের হয়ে ৪৩ রানে চার উইকেট নিয়েছেন ইরফান হোসেন।
পরে শেখ জামালের স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আড়াইশও পেরুতে পারেনি খেলাঘর। ইনিংসের দশম ওভারে ২২ বলে ১২ রান করা সাদিকুর রহমানকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসির হোসেন। পরে আর বড় জুটি গড়তে পারনি খেলাঘর।
অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও বাকিরা সঙ্গ দিতে পারেননি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ২২১ রান তুলতে পেরেছে খেলাঘর। ৭৮ বলে ৫১ রান করা জহুরুল দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোরের মালিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন মাসুম খান।
শেখ জামালের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ, ইলিয়াস সানি ও সালাউদ্দিন সাকিল।
ডিপিএল মাশরাফি বিন মর্তুজা মোহাম্মদ আশরাফুল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব