মাশরাফি জানালেন যা করা যাবে, যা করা যাবে না
২০ মার্চ ২০২০ ১৮:০৩
সারা বিশ্বে যেমন তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে করোনাভাইরাস তেমন বাংলাদেশেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কয়েকজন। শুক্রবার (২০ মার্চ) পর্যন্ত বাংলাদেশে ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইতিমধ্যে সতর্কতা হিসেবে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মীদের ঘরে বসে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অবস্থায় সচেতনতার বিকল্প নেই। দেশবাসীকে সচেতন করতে এগিয়ে এলেন সদ্য সাবেক টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও।
শুক্রবার (২০ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লম্বা এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাশরাফি। যাতে করোনাভাইরাস রুখতে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
২০১৬ সালে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তাকে আলিঙ্গন করার জন্য মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন এক দর্শক। সেই ছবি পোস্ট করে মাশরাফি লিখেছেন- না, এভাবে কাছে আসা যাবে না! না, নিজের পরিচিত কিংবা দূরের কাউকে জড়িয়ে ধরা যাবে না!
মাশরাফির স্ট্যাটাসের পরের কথাগুলো সারাবাংলা ডটনেটের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
যা করা যাবে: নতুন করোনাভাইরাস রোগ সম্পর্কে কথা বলুন (কোভিড-১৯)
যা করা যাবে না: রোগের সাথে এর ভৌগলিক অবস্থান বা জাতিসত্তা সংযুক্ত করা যাবে না। মনে রাখবেন, ভাইরাসটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী, জাতি বা বর্ণের মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে না।
যা করা যাবে: কোভিড-১৯ আছে এমন লোক সম্পর্কে, কোভিড-১৯ এর জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করছে এমন লোক সম্পর্কে, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন এমন লোক সম্পর্কে বা কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরে মারা যাওয়া লোক সম্পর্কে কথা বলা যাবে।
যা করা যাবে না: এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ এর “শিকার” হিসাবে উলেখ করা যাবেনা
যা করা যাবে: কোভিড-১৯ ব্যক্তিদের সংক্রমণের বিষয়ে কথা বলুন।
যা করা যাবে না: কোভিড-১৯ আক্রান্ত লোকেরা “অন্যকে সংক্রামিত করে” বা “ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়” – এসব বলা যাবে না কারণ এটি ইচ্ছাকৃতভাবে সংক্রমণ ছড়ানো বোঝায় এবং দোষ চাপিয়ে দেয়।
যা করা যাবে: বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং সর্বশেষ অফিসিয়াল স্বাস্থ্য পরামর্শের উপর ভিত্তি করে কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি সম্পর্কে সঠিকভাবে কথা বলুন।
যা করা যাবে না: অসমর্থিত গুজবের পুনরাবৃত্তি এবং আতঙ্ক ছড়ায় এমন ভাষা ব্যবহার করা যেমন “প্লেগ”, “অ্যাপোক্যালিপস” ইত্যাদি।
যা করা যাবে: ইতিবাচকভাবে কথা বলুন এবং হাত ধোয়া সম্পর্কিত টিপস অনুসরণ করে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর জোর দিন। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এটি এমন একটি রোগ যা তারা কাটিয়ে উঠতে পারে। নিজেকে, প্রিয়জনদেরকে এবং সবচেয়ে দুর্বলকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা সকলেই নিতে পারি এমন সহজ পদক্ষেপ।