করোনায় যেভাবে সময় কাটছে তামিম-মিরাজদের
৩১ মার্চ ২০২০ ১৯:০০
একটি ভাইরাস থমকে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। রাত পোহালেই গণমাধ্যমগুলোতে ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে অযুত মত্যুর মিছিল ও নতুন নতুন সংক্রমণের খবর। বাংলাদেশে যদিও এত হাতাহত ও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু তাই বলে হবে না সেটাই বা কে নিশ্চিত করে বলতে পারে বলুন? সেই দুর্ভাবনা থেকেই প্রাণঘাতী ভাইরসাটির প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারি নির্দেশনায় এদেশ অনেকটাই অবরুদ্ধ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সরকারি অফিস, আদালতও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া দেশের আপামর জনসাধারণের চলাচলও সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। বাজার, মুদি দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থবিরতা নেমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। কোনো খেলা নেই। চলতি মাসের মাঝামাঝি হুট করে বন্ধ হয়ে যাওয়া খেলা আবার কবে মাঠে গড়াবে তাও কেউ জানে না। অন্য উপায়েই সবার এখন সময় কাটছে। ব্যতিক্রম নন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজও।
করোনার সময়টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল পুরো সময়টিই ঘরে বসে কাটাচ্ছেন। তাই বলে ফিটনেসের বিষয়টি বেমালুম ভুলে যাননি। করোনা শেষ হলেই মাঠে ফিরতে হবে এবং শক্ত করে দেশের ক্রিকেটের হাল ধরতে হবে। সেটা বেশ ভালো করেই জানা তার। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসার ভেতরেই সেরে নিচ্ছেন রানিং। আর যাই হোক নিজেকে তো ফিট রাখতে হবে। এরপর বাদবাকি পুরো সময়টা কাটছে পরিবারের সান্নিধ্যে।
সারাবাংলার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে সেকথাই জানালেন নতুন এই ওয়ানডে দলপতি। ‘বাসার ভেতরেই কাটছে। সকালে ঘুম থেকে রানিং করি। বাদবাকি সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাই।’
একই রুটিনে সময় কাটছে মেহেদি হাসান মিরাজেরও। নিজ শহর খুলনায় পরিবারের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে করোনার স্থবির দিনগুলো পার করছেন লাল সবুজের ক্রিকেটের এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। বাইরে বের হচ্ছেন না মোটেই। ফিটনেস নিয়েও আপাতত কিছু করছেন না। তার এক কথা- এখন নিরাপদে থাকাটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। বেঁচে থাকলে ফিটনেস, ক্রিকেট সব হবে।
‘ঘরে বসেই কাটছে। পরিবারকে সঙ্গে সময় দিচ্ছি। ফিটনেস ধরে রাখাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কাজটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুই করার নেই। যে সময় যাচ্ছে তাতে আগে নিরাপদে থাকা বেশি জরুরি। যদি নিরাপদে থাকি, সুস্থ থাকি বেঁচে থাকি পরে এটা ঠিক করে নেওয়া যাবে।’
সপ্তাহ খানেক আগে করোনা মোকাবিলায় ২৬ ক্রিকেটারের অনুরূপ তিনিও বেতনের অর্ধেক দিয়ে দিয়েছেন। এর পেছনের ভাবনাটা কী ছিল? জানালেন সেকথাও।
‘মূলত করোনায় অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতেই আমরা ওই আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। এটা দিয়ে আমরা সমাজের বিত্তবানদের প্রতি একটি বার্তাও দিয়েছি যে তারাও যেন এই দু:সময়ে অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়ায়।’
অবসর সময় করোনা মোকাবিলা করোনাভাইরাস তামিম ইকবাল মেহেদি হাসান মিরাজ