পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ৩৪ বছর
১ এপ্রিল ২০২০ ০০:২০
১৯৮৪ সালে সাউথ-ইস্ট এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপের মূল আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটাই ছিল বাংলাদেশের পদচারণা। ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ পাকিস্তানে বিপক্ষে অভিষেক হয় বাংলাদেশ দলের। ওয়ানডে ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট ছিল সেটি। মঙ্গলবার সেই দিনটির ৩৪ বছর পূর্ন হলো।
অভিষেকের ৩৪ বছরে চলুন দেখে আসা যাক বাংলাদেশের ওয়ানডে পরিসংখ্যান-
জয়-পরাজয়:
অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ৩৭৬টি। এর মধ্যে জয় ১৩১ ম্যাচে হার ২৩৮টিতে। বাকি সাত ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আফ্রিকার দলটির বিপক্ষে ৭৫ ম্যাচ খেলে ৪৭টিতেই জিতেেছ বাংলাদেশ। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা প্রতিপক্ষও জিম্বাবুয়ে।
সর্বোচ্চ সংগ্রহ:
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি এবং তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৩৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর।
সর্বনিম্ন সংগ্রহ:
২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে সেটা বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৪ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষেও অবশ্য সেই ৫৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
সবচেয়ে বড় জয়:
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। কদিন আগে সিলেটে জিম্বাবুয়ানদের ১৬৯ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে সেটাই বড় ব্যবধানে জয়।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক:
অনেক বছর ধরেই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। ২০৭ ম্যাচ খেলে ২০৫ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৭ হাজার ২০২ রান করেছেন বাঁহাতি ওপেনার। সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরির হিসেবেও তামিম সবার উপরে। ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরি ১৩টি, হাফ সেঞ্চুরি ৪৭টি।
রান সংগ্রাহকদের তালিকায় দুই নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান। ২০৬ ম্যাচ খেলে ১৯৪টিতে ব্যাটিং করে ৬ হাজার ৩২৩ রান করেছেন সাকিব। সেঞ্চুরি ৯টি, হাফ সেঞ্চুরি তামিমের সমান ৪৭টিই।
সেরা ইনিংস:
২০০৯ সালের মার্চে হারারেতে ১৫৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে অনেকদিন সেটা সেরা ইনিংস ছিল। সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে ১৫৮ রান করে তামিম নিজেই একবার সেই রেকর্ড ভেঙেছিলেন। পরের ম্যাচেই লিটন দাস ১৭৬ রানের দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলে সেই রেকর্ড নিজের করে নেন।
সেরা জুটি:
সেরা পার্টনারশিপের রেকর্ড তামিম-লিটন দাসের। জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রথম উইকেট জুটিতে ২৯২ রান তোলেন দুজন। বাংলাদেশের পক্ষে যে কোন উইকেটে সেরা জুটি এটা।
সর্বোচ্চ ডাক:
সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মতো তামিম ইকবাল ডাকেও সেরা! হাবিবুল বাশারের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন অভিজ্ঞ ওপেনার। দুজনই ডাক মেরেছেন ১৮টি করে।
সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক:
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা। ২১৮ ম্যাচে ২৬৯ উইকেট নিয়ে শীর্ষে মাশরাফি। সাকিব আল হাসান আছেন দুই নম্বরে। ২০৬ ম্যাচে সাকিবের উইকেট ২৬০টি।
সেরা বোলিং:
ম্যাচে সেরা বোলিংয়ে যৌথভাবে শীর্ষে মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা ও রুবেল হোসেন। ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ২৬ রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রানে ছয় উইকেট নেন রুবেল হোসেন। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান ৬ উইকেট পেলেও রান খরচ করেন ৪৩টি।
সর্বোচ্চ ডিসমিসাল:
সর্বোচ্চ ডিসমাল স্বাভাবিভাবেই মুশফিকুর রহিমের। ২১৮ ম্যাচে মোট ২২৩ ডিসমিসাল করেছেন মুশফিক। ক্যাচ ১৭৯টি, আর স্ট্যাম্পিং ৪৪টি।
সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার:
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা আর মুশফিকুর রহিম। দুই জনই ২১৮টি করে ম্যাচ খেলেছেন।
সেরা অধিনায়ক:
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা। ৮৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে ৫০টিতে জিতিয়েছেন মাশরাফি।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ দল মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা মুশফিকুর রহিম সাকিব আল হাসান