বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়রশিপও অনিশ্চয়তায়
১ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৫২
স্থগিত হওয়ার আশঙ্কায় আছে এ টুর্নামেন্টও।
আঞ্চলিক এ আসরের আয়োজন পিছিয়েও যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৩০শে সেপ্টেম্বর এ আসর শেষ হওয়ার কথা।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব কম সময়ের মধ্যে না কমে গেলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন হেলাল। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ বাইরে বেরুতে পারছে না সংক্রমণের ভয়ে। সবকিছুতেই এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপও পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনো ভাইরাসের কারণে এপ্রিলের সভা বাতিল করেছে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ)। আমাদের দেশেও ‘লকডাউন’ চলছে। এটা উঠে গেলেও যে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে, তা মনে হচ্ছে না। বাইরের দলগুলো বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপত্তার দিকটি দেখবে। এ পরিস্থিতিতে সেটা দেখাও অস্বাভাবিক নয়।’
এরই মধ্যে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের সব ম্যাচ স্থগিত হয়েছে। পরিস্থিতি ভালো হলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শুরু হবে।. সাফের দেশগুলোর লীগ মাঠে গড়াতে পারে। এসব বিষয় চিন্তা করে সাফের নতুন সূচি করার ইঙ্গিত দিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যদিও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হতে অনেক দেরি আছে। পরিস্থিতি ভালো হলে সব পক্ষের সঙ্গে বসতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে নির্ধারিত সময়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হবে কিনা। তবে বর্তমান যে পরিস্থিতি, এটা যদি আরও কিছুদিন চলতে থাকে, তাহলে প্রতিযোগিতাটি পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
গত ১২ আসরের ৩টির আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে প্রথমবার সাফ আয়োজন করে একমাত্র শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিল তারা। ২০০৯ সালের প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ সেমি-ফাইনালে খেলা বাংলাদেশের পরের চার আসর কেটেছে চরম হতাশায়। চারবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সবশেষ গতবার ঢাকার মাঠে এই তেতো স্বাদ নেয় বাংলাদেশ।
অনিশ্চয়তা করোনাভাইরাস ক্রীড়াঙ্গন স্থবির বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ