Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভারতের বিপক্ষে হারটাই আমার কোচিং ক্যারিয়ারের নতুন মোড়’


১১ এপ্রিল ২০২০ ১৭:১৯

দুর্দান্ত ফর্মে অস্ট্রেলিয়া! হোক তা ওয়ানডে, হোক টি-টোয়েন্টি আর টেস্টে তো আরো দুর্ধর্ষ। ২০১৮ সালে কেপ টাউনে বল টেম্পারিংয়ের লজ্জিত ঘটনায় ইস্তফা দিয়েছিলেন ড্যারেন লেম্যান। আর তার জায়গায় নিজের নাম লিখেছিলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। আর অজিদের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ঘরের মাঠে ভারতের কাছে টেস্টে ২-১ ব্যবধানে সিরিজের হার। আর সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় অজি দল। শেষ ১৫ মাসে হারেনি কোনো টেস্ট সিরিজ। আর এই কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের পাশাপাশি পাবেন জাস্টিন ল্যাঙ্গারও।

বিজ্ঞাপন

ভারতের কাছে সিরিজ হেরে তার মুখের হাসি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে জানায় ল্যাঙ্গারের স্ত্রী। এবং তার জীবনে কোনোকিছুই ঠিকভাবে চলছিল না সে বিষয়টিও জানান ল্যাঙ্গারের জীবন সঙ্গিনী। তবে সেখান থেকে ল্যাঙ্গার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। অস্ট্রেলিয়াকে জয়ে ফিরিয়েছেন। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে হারলেও এরপর অ্যাশেজ ধরে রেখেছেন আর জিতেছেন শেষ চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজও। এত সব কীর্তিই বলে দেয় ল্যাঙ্গার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ভারতের বিপক্ষে নিজের প্রথম টেস্ট সিরিজ হারের পর যার কোচিং ক্যারিয়ারের এপিটাফ এঁকে দিয়েছিলেন অনেকে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে ল্যাঙ্গারের পরিসংখ্যান। আর এসব কথা জাস্টিন ল্যাঙ্গার নিজেই জানিয়েছেন ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।

ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের হার সম্পর্কে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘ওটাই আসলে আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আমার কোচিং ক্যারিয়ারের নতুন মোড় নিয়েছে ওই সিরিজের পরেই। আজ থেকে ১০ বছর পর আমি যখন আমার কোচিং ক্যারিয়ারের দিকে তাকাবো তখন নিঃসন্দেহে ওই সিরিজটার কথা আমার মনে পড়বে। কারণ ওটাই আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।’

কোচ হিসেবে নিজের প্রথম টেস্ট সিরিজে হারের ওই সময়টাকে নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের সময়ের সঙ্গে তুলনা করেন ল্যাঙ্গার। ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়াত ৩ নাম্বারের ব্যাটসম্যানের জায়গা থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং দল থেকেও বাদ পড়তে হয় ল্যাঙ্গারকে। তবে তিনি হার মানেননি, পরিশ্রম করেছেন আর পরে দলে ফিরে ম্যাথিউ হেইডেনের সঙ্গে জুটি বেঁধে বনে গেছেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা টেস্ট ওপেনিং ব্যাটসম্যান।

ওই সময়ের সঙ্গে কোচিং ক্যারিয়ারের তুলনা করে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘২০০১ সালে ৩১ বছর বয়সে আমি অস্ট্রেলিয়ার দল থেকে বাদ পড়ি। তখন আমি ভেবেছিলাম এটাই মনে হয় আমার ক্যারিয়ারের শেষ। আর ফিরতে পারবো না দলে। তবে সেটা আমার জন্য একটু দুর্দান্ত পরিবর্তন ছিল। আমাকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে এবং সর্বপরি একজন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে বাদ পড়া ওই সময়টা।’

বিপদের সময়েই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে শিখি- এটাই মনে করিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী এই ক্রিকেটার। ঠিক যেমন কেপ টাউনের বল টেম্পারিংয়ের ওই সময় থেক অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক অভিযোগ করেন কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার আইপিএল’র ভালো চুক্তির জন্য ভিরাট কোহলির ওপর চড়াও হয়না মাঠের ক্রিকেটে। আর অজি টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ‘কোহলিকে না ক্ষেপানোই ছিল আমাদের কৌশল।

এ ব্যাপারে অজি কোচ ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আসলে আমি সঠিক বুঝতে পারছি না যে কে নরম হয়েছিল কোহলির ওপর। আর আমাদের কৌশলই ছিল কোহলিকে না ক্ষেপানোর। কারণ আমরা জানি ও ক্ষেপে গেলেই বেশি দুর্দান্ত ব্যাটিং করে।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান জাস্টিন ল্যাঙ্গার সাবেক অজি ক্রিকেটার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর