করোনাক্রান্তিতে কারাবন্দীদের পাশে মাশরাফি
১২ এপ্রিল ২০২০ ২২:২০
স্পোর্টস ডেস্ক
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। দেশে সংখ্যাটা এখন ৬২১, ইতোমধ্যেই এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে রোগী আর লাশের সংখ্যা। এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাস। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে করোনা মোকাবিলার। ব্যক্তিগত পর্যায়েও বিভিন্নজন নানানভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে আসছেন। বিপদে পড়া নিম্নস্তরের মানুষদের খাবারের যোগান দিতে কাজ করছেন বহুজন। কিন্তু তাদের কথা কী কেউ ভাবছেন যাদের সব থেকেই কেউ নেই! বলা হচ্ছে কারাগারে বন্দি থাকা কয়েদিদের কথা। বিপদ তো তাদেরও।
দেশে যে হারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তাতে কারাগারগুলোতেও তা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলা যাবে না। আর তেমন কিছু হলে সেটা হবে বড্ডই ভয়ঙ্কর। কারণ কারাগারে অল্প জায়গায় থাকতে হয় অনেক মানুষকে। দ্রুতই ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। এমন অবস্থায় থাকা মানুষগুলোর কথা ভাবছেন মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা।
করোনা আতঙ্কের মুখে বন্দি কয়েকজনের মাঝে সাবান, মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন বাংলাদেশের সফলতম সাবেক অধিনায়ক। রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুরে নড়াইল কারাগারে থাকা বন্দিদের এবং কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে এসব বিতরণ করেছেন তিনি।
এসময় মাশরাফির সঙ্গে নড়াইলের জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা সুপার মুজিবর রহমান মজুমদার, নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখিত সামগ্রী বিতরণের পর মাশরাফি বলেন, ‘যারা কারাগারে আছে তারাও আমাদের সমাজেরই মানুষ। তাদেরকেও সুরক্ষা করা আমাদেরই দায়িত্ব। আর সেই জন্যই কারাগারের সকল সদস্যদের জন্য বিভিন্ন জিনিস বিতরণ করা হয়েছে।’
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে অনেক আগেই। জনসাধারণের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। আর এতে বড় ধরনের বিপদে পড়েছে নিম্নবিত্তরা। মাশারাফি শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরও হয়ে।
নিজের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নিম্নবিত্তদের খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রীসহ বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে আসছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত।
সারাবাংলা/এসএইচএস/জেএইচ