সাকিবের ভাবনায় ২০২৩ বিশ্বকাপ
১৫ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৩০
ভাবনাটা ছিল ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার। তবে সবকিছু ওলট পালট হয়েছে নিষেধাজ্ঞায় পড়ে। এক বছরের স্থগিতাদেশ মিলিয়ে মোট দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন সাকিব আল হাসান। এর আগে অবশ্য ইংল্যান্ডে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সারা বিশ্বকে দেখিয়েছেন কেন তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে সাকিব বলছেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের থেকেও আরো দুর্দান্ত হবে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স।
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে স্থবিরতা বিরাজমান। এর মাঝেই দেশ ছেড়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট ও টি-টোয়ন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সময় কাটাচ্ছেন নিজের পরিবারের সঙ্গে। আর যুক্তরাষ্টে অবস্থান করলেও সেখান থেকেই দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাকিব। প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’, যার মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন করোনাক্রান্তদের মাঝে।
তবে করোনাক্রান্তিতে অবসরেই সময় কাটানো সাকিব ভক্তদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন প্রায়ই। ইনস্টাগ্রামে লাইভ ভিডিওতে এক ভক্তের প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘খুব বেশি কিছু যে দরকার, তা নয়। আমার কাছে মনে হয়ে যা দরকার সেটা আছে। এখন যেই দলটা আছে, সেখানে মোটামুটি সবই আছে। তবে ক্রিকেটারদের পরিচর্যা অনেক বেশি দরকার। প্রস্তুতিটা ভালো হওয়া দরকার। আমার মনে হয় আমরা খুব ভালো দল হয়েই ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে যেতে পারব।’
এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপটা কেটেছে তার স্বপ্নের মতো। ৮ ম্যাচে ব্যাট হাতে হাঁকিয়েছেন ৬০৬ রান আর বাঁ হাতের ঘূর্ণিতে ঝুলিতে পুরেছিলেন ১২টি উইকেট। বিশ্বকাপে এর আগে এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স কখনোই দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকতে চাননা সাকিব। তিন বছর পর ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে এর থেকেও ভালো পারফরম্যান্স করার প্রত্যয় তার।
বিশ্বকাপের উইকেটগুলো সব সময়ই ব্যাটিং বান্ধব-এমনটাই মনে করেন সাকিব। যার ব্যতিক্রম আগামী বিশ্বকাপে হবে বলে মনে করছেন না তিনি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসবে ভারতে। তা নিয়ে সাকিবের মত, ‘ভারতে খেলা। সেখানকার কন্ডিশন আমাদের মতোই। তবে আইসিসি টুর্নামেন্টে কন্ডিশন খুব একটা পার্থক্য সৃষ্টি করে না। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক থাকে, যেটা ২০১৫ বিশ্বকাপেও ছিল, ২০১৯ সালেও ছিল।’
ইনস্টাগ্রামের লাইভ থেকে যেন পুরাতন স্মৃতির খোরাক জুগিয়েছেন সাকিব। বার বার ফিরে যেতে চাইছেন অতীতে। মনে করেছেন তার বিকেএসপি’র জীবনের সময়টুকুও। অতীত মনে করে সাকিব বলেন, ‘আমার সবচেয়ে স্মরণীয় ও সবচেয়ে মজার সময় ছিল বিকেএসপির সময়টা। হ্যা, প্রথম দুই-আড়াই মাস কঠিন ছিল। নতুন মানুষদের সঙ্গে পরিবার ছেড়ে একা একা থাকা। কিন্তু এরপরের প্রতিটি দিন নিয়েই আমার মনে হয় আমি একটি করে বই লিখতে পারব। এতোই মজার ছিল আমার বিকেএসপি জীবন। এতোই মজা করেছি যে ছুটিতেও আমি বিকেএসপিতে যেতাম।’
গেল বছরের ২৯ অক্টোবর জুয়াড়ির দেওয়া প্রস্তাবের কথা যথাযথ কর্তৃপক্ষ না জানানোর কারণে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয় সাকিব আল হাসানকে। এর মধ্যে অবশ্য এক বছর স্থগিতাদেশসহ। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর শেষ হবে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা। এরপর আবারো ফিরবেন দেশের ক্রিকেটে বরপুত্র।
করোনাভাইরাস ভাবনায় ২০২৩ বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্রে সাকিব আল হাসান