Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দলকে পরিবারের মতো গড়ে তোলার চেষ্টা করছি: মুমিনুল


১৮ এপ্রিল ২০২০ ১৭:২৮

গেল বছরের অক্টোবরে আইসিসি কর্তৃক সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশ দলের টেস্ট ব্যাটন তুলে দেওয়া হয় মুমিনুল হকের হাতে। হুট করে দায়িত্ব নিয়ে ইতোমধ্যেই তিনটি সিরিজে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রিন্স অব কক্সবাজার। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজটি বাদ দিলে প্রথম দুটি অর্থাৎ ভারত ও পাকিস্তান সফরে তার দলের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই রকমের। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোনো বিভাগেই ২০ বছরের অভিজ্ঞ বাংলাদেশের ছিটে ফোঁটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেন পাওয়া যায়নি তার কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে টাইগার লিটল মাস্টার উপলব্ধি করেছেন, একটি দল হয়ে তারা খেলতে পারেননি। আর একটি দল হয়ে উঠতে গেলে সবার আগে পরস্পরের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য বন্ধন তার কাছে অনস্বীকার্য মনে হয়েছে। যে বন্ধনটি কেবল একটি পরিবারের মধ্যেই গড়ে উঠা সম্ভব। সঙ্গত কারণেই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দলকে পরিবারের মতো গড়ে তোলাই তার অন্যতম প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।

সেই পরিবারের কেউ কারো খারাপ দিনে উপহাস করবে না, বরং পরম মমতায় ছায়া হয়ে পাশে দাঁড়াবে। স্ব স্ব জায়গা থেকে সবাই পারফর্ম করতে মরিয়া থাকবে, হেরে গেলে কেউ কারো ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেবে না। আবার দলের জয়ের দিনে সবাই একসঙ্গে ‍উদযাপন করবে।

এখানেই শেষ নয়। পরিকল্পনা আছে দলের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কে ধীরে ধীরে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার।

দেশকে নেতৃত্ব দিতে বেশ ভালোই লাগছে মুমিনুলের। চাইছেন এর ষোল আনা উপভোগ করতে। এরপর যা হবার হবে। ব্যাটিংটাও করতে চাইছেন নিজের মতো করেই। তবে ক্যারিয়ার সায়াহ্নে নিজেকে ঠিক কোথায় দেখতে চান সেই লক্ষ্য এখনো ঠিক করেননি। আপাতত দেশের জন্য নিজের সেরাটি দিতেই মুখিয়ে আছেন এই ক্ল্যাসিক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

মুমিনুল

মুঠোফোনে সারাবাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কথাগুলো জানালেন টাইগার টেস্ট দলপতি। কথা বলেছেন দলীয় ও ব্যক্তিগত নানান প্রসঙ্গেও। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা তুলে ধরা হলো-

সারাবাংলা: অধিনায়কত্ব কতটা উপভোগ করছেন?

মুমিনুল: খুব ভালো উপভোগ করছি। ছোট বেলা থেকে অধিনায়কত্ব করার অভ্যাস ছিল না। বলা যায় হঠাৎ করেই পাওয়া। সব দিক থেকে বিবেচনা করলে আমার মনে হয় এটা বড় একটা অর্জন। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টিকর্তা সবাইকে দেন না। তো আমাকে তিনি এই সুযোগটি দিয়েছেন। যেহেতু পেয়েছি উপভোগ করছি, ভালও লাগছে। কারণ আমার নেতৃত্বে একটি দল চলবে। ওই হিসেবে ভালোই লাগে।

সারাবাংলা: অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে আপনার পরিকল্পনাটা যদি বলতেন।

মুমিনুল: আপাতত বড় কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করিনি। সবাই জানে টেস্টে আমরা খুব একটা ভালো দল না। তো আমরা ছোট ছোট যেসব জায়গায় উন্নতি দরকার ওইসব জায়গাগুলো ধরে ধরে উন্নতি করার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে পেস বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং। এছাড়া আরেকটি জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি; আপনি জানেন আমাদের অনেকের মধ্যে আত্মকেন্দ্রীকতা কাজ করে। সেই জায়গাটায় উন্নতির চেষ্টা করছি। যেন খেলাটা নিজের জন্য না খেলে দলের জন্য খেলি। এর বাইরে আরো একটি জায়গায় কাজ করতে চাই সেটা হলো দলকে পরিবরের মতো গড়ে তোলার চেষ্টা করছি যেন কেউ পারফর্ম না করলে যেন সবাই অনুভব করে যে আমাকে আজ ভালো করতে হবে। আবার কেউ ভালো করলে যেন সবাই উদযাপন করে। দল হারলে সবাই হেরেছি এই উপলব্ধিটা থাকতে হবে। কাউকে যেন দোষারোপ না করি। মানে একটি পারিবারিক আবহে খেলতে চাইছি। আগেও এইগুলি ছিল সেগুলোকে আরো উন্নতি করার চেষ্টা করছি।

সারাবাংলা: অনেকেই বলে আপনি লাজুক প্রকৃতির। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই জানেন কখন কি করতে হবে?

মুমিনুল: দেখেন এখানে লাজুক বড় বিষয় না। বিষয় হলো আপনি কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেকে গড়ে তুলবেন। ধরেন আপনার দুটি সন্তান আছে। একটি সন্তান দেখবেন ভালোভাবে বললে কথা শুনবে। আরেকজন একটু ঝাঁড়ি না দিলে শুনবে না। তো আমি ওইটা শেখার চেষ্টা করছি যে কাকে ভালোভাবে কথা বললে উন্নতি করবে। আর কাকে একটু টাইট দিলে ভালো করবে। যাকে টাইট দেওয়া দরকার তাকে কিন্তু ভালোভাবে বললে হবে না। তো ওইটাই আমি শেখার ও প্রয়োগের চেষ্টা করছি। অনেক সময় মাথাটা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করি।

মুমিনুল

সারাবাংলা: বাংলাদেশ দেশের বাইরে ভালো করতে পারে না। এর প্রধান কারণ এদেশে ওই মানের কোনো পেসার নেই। আপনি কী মনে করেন এদেশে যদি পুরোদস্তুর দুই তিনটি সিমিং কন্ডিশনের উইকেট থাকে এবং সেখানে নিয়মিত এনসিএল, বিসিএল হয় তাহলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব?

মুমিনুল: অবশ্যই! কারণ আপনি যদি সিমিং উইকেট পান তাহলে পেসাররা বল করতে আগ্রহী হবে। বিশেষ করে চার দিন ও এক দিনের ম্যাচে। সিমিং কন্ডিশনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমার মনে হয় বোর্ড এই জায়গাটায় কাজ করছে। কেননা শেষ আমরা যখন এনসিএল ও বিসিএল খেললাম দুই একটি ভেন্যুতে কিন্তু এই কন্ডিশন ছিল। যেহেতু শুরু হয়েছে আশা কররি আস্তে আস্তে উন্নতি হবে। তবে এক বছর করলাম আরেক বছর করলাম না এমন করলে হবে না। ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। ধরেন সিম কন্ডিশন হলো না উইকেট ফ্ল্যাট সেখানেই আপনাকে ভালো করতে জানতে হবে। যে ভালো বোলার সে ফ্ল্যাট উইকেটে যেমন বল করতে জানে সিমিং কন্ডিশনেও ভালো করতে জানে। শুধু সিম কন্ডিশন দিলেই হবে না। টেস্টে এমন বোলার দরকার যে ফ্ল্যাট উইকেটেও ভালো বল করবে, সিম কন্ডিশনেও ভালো বল করবে, নতুন বলে ভালো করবে এবং পুরোনো বলেও ভালো করবে। সেজন্য আমার মনে হয় উইকেটের বৈচিত্র্যময়তা প্রয়োজন। শুধু সিমি কন্ডিশনে বল করলেই হবে না। তাছাড়া সিমিং কন্ডিশনের নেতিবাচক দিকও আছে। এই ধরনের উইকেটে দেখবেন বোলাররা ৫-৬ ওভার খুব ভালো বল করছে। কিন্তু পরে আর বল করতে চাচ্ছে না। টেস্টে ভালো বোলার তৈরী করতে হলে ওই বোলারকে সবসময় সব কন্ডিশনে বল করা জানতে হবে। ৩০ ওভারের পরে কীভাবে বল করতে হয়, ১০ ওভারের মধ্যে কীভাবে বল করতে হয় জানতে হবে। এটা পুরিপুরি নির্ভর করে বোলারদের ওপরে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো আমরা চেষ্টা করছি যেন প্লেয়াররা ঘনঘন পরিবর্তন না হয়। বিশেষ করে পেসারদের ক্ষেত্রে। আপনি যদি ভালো পেসার গড়ে তুলতে চান তাহলে নুন্যতম তিন থেকে চার কি পাঁচজন পেসার ধরে ওদের তিন চার পাঁছ বছর এক সঙ্গে রাখতে হবে। তাহলে ওদের ভেতরে আত্মবিশ্বাস জন্মাবে এবং শিখতে চাইবে। যদি তিন ম্যাচ দেখেই বের করে দেই তাহলে কিছুই হবে না। বিশ্বের অনেক বড় বড় বোলার আছে যারা ১৫ ম্যাচ পরে বুঝতে পেরেছে ওকে কি করতে হবে। তাছাড়া টেস্ট ক্রিকেট ফরম্যাটটাও কঠিন। এখানে কাউকে নিয়মিত না খেলালে সে জীবনে উন্নতি করতে পারবে না।

সারাবাংলা: সাকিব আল হাসান ফিরলে নিশ্চয়ই দলের অবস্থা বদলে যাবে?

মুমিনুল: জ্বি! খুবই ভালো হবে।

সারাবাংলা: বাংলাদেশ টেস্ট খেলতে নামে ৭ থেকে ৮ জন ব্যাটসম্যান নিয়ে। মানে শুরুতেই রক্ষণাত্মক। যেখানে ব্যাটিং গভীরতাই চোখে পড়ে। আপনার কি মনে হয় না বোলিং গভীরতার দিকেও মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে? মানে নুন্যতম ৫ জন জেনুইন বোলার দলে থাকা উচিৎ?

মুমিনুল

মুমিনুল: আপনার কথা যৌক্তিক। তবে আমারও যুক্তি আছে। উদাহারণ দিয়ে বলি- আপনি যদি ভারতের দিকে তাকান দেখবেন ওদের দলে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের গড় প্রায় ৬০ এর কাছাকাছি। এরপরে সাতে নামেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ওর গড় প্রায় ৪০। আর রবীন্দ্র জাদেজার প্রায় ৩৫। যদি এমন দল হয় তাহলে কিন্তু ৫টা বোলার দিয়ে খেলানো যায় এবং সেই পরিকল্পনা আমারও আছে। যেদিন আমাদের ব্যাটসম্যানদের গড় ৫০ হবে আর লোয়ার অর্ডারের গড় ৩০ এর কাছাকাছি হবে সেদিন আমি পারব। হয়ত দেরি হবে। কিন্তু হতে হবে। সেদিন আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিব। এখন দিলে অযৌক্তিক হবে। গড় ৫০ এর নিচে হলে ৬ ব্যাটসম্যান নিয়ে নামা বোকামি হবে।

সারাবাংলা: টেস্ট জিততে ২০টি উইকেট লাগে। আপনি বিশ্বাস করেন আপনার বোলারদের সেই সামর্থ্য আছে?

মুমিনুল: অবশ্যই! আপনি যদি বাংলাদেশের কন্ডিশনের কথা বলেন এখানে সম্ভব। আমরা যদি প্রতিপক্ষ চিন্তা করে উইকেট করি তাহলে ২০টা উইকেট নেওয়ার মতো বোলার আমাদের আছে। সাকিব ভাই আছে, তাইজুল আছে, রাহি আছে, নাঈম আছে, এবাদত আছে; রাহি কিন্তু টানা ভালো বল করছে। ধীরে ধীরে উন্নতি করছে এবং সেই বিশ্বাসটা আপনাদেরও করাচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হলো ওদের নিয়মিত খেলাতে হবে। তাহলে শুধু দেশেই নয় বিদেশেও তারা ২০ উইকেট নিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি যে কথাগুলো বললাম এর ফল আপনি এক বছরে পাবেন না। কারণ টেস্ট ক্রিকেটটা ওয়ানডে থেকে অনেক কঠিন। এখানে খেলিয়ে খেলিয়ে প্লেয়ার প্রস্তুত করতে হয়।

সারাবাংলা: আগে আপনি বেশ আটশাট ডিফেন্স করতেন। প্রতিপক্ষের বোলাররা আপনাকে বল করতে করতে ধৈর্য হারাত। এখন কি সেটা কমে গেছে?

মুমিনুল: ওই রকম না। ওটা আগে ছিল। আমি ব্যাটিংয়ের ধরন বদলেছি। কেননা আপনি যে খেলাই খেলেন না কেন টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি আপনি যদি সারাদিন ঠেকিয়ে আসেন কিন্তু রান না করেন সেই খেলার কোনো মানেই নেই। কারণ দিন শেষে আপনাকে রান করতেই হবে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এমনই একটি বিষয় আপনাকে সেরা কৌশলটি বেছে নিতেই হবে। ধরেন আমি যদি টেস্টে শুধু ডিফেন্স করতেই থাকি বোলাররা আমাকে এক জায়গায় বল করে যাবে। ওখান থেকে বের হতে হলে আপনাকেই বুঝতে হবে কখন আপনি আক্রমণাত্মক হবেন আর কখন রক্ষণাত্মক হবেন। আর বাংলাদেশের উইকেটে আপনি ডিফেন্স করে বেশিক্ষণ টিকতে পারবেন না কারণ এখানে বল মারত্মক টার্ন করে। এখানে রানটাই গুরুত্বপূর্ণ। তো উইকেট বুঝে মাঝে মাঝে আক্রমনাত্মক খেলি। আর কিছুই না।

সারাবাংলা: আপনি বোলিংটাও ভালো করেন। কিন্তু ইদানিং দেখা যায় না। ছেড়ে দিলেন নাকি?

মুমিনুল: ছেড়ে দিচ্ছি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে বল করা হয়। বোলাররা যখন ক্লান্ত হয়ে যায় তখন মাঝে মাঝে বল করি। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করা হয় না কারণ আমার মনে হয় মূল বোলাররা বল করাই ভালো। পার্টটাইমাররা বল করলে ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে যায়। একারণে করা হয়ে উঠে না।

সারাবাংলা: অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট সিরিজটা স্থগিত হলো। কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেন?

মুমিনুল: ক্ষতির কিছুই নেই কেননা যেহেতু এটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের অংশ সেহেতু পরে হবে। তাছাড়া এই মুহুর্তে খেলার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে নিশ্চয়ই হবে। সুযোগ কিন্তু আছে। তাছাড়া আরো একটি দিক থেকে ভালো হয়েছে, যখন খেলাটা হবে তখন সাকিব ভাই দলে থাকবেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় সুবিধা। আমি অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর আমার নেতৃত্বে পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নামা হয়নি। কোনো সিরিজে তামিম ভাই ছিলেন না, কোনোটায় মুশফিক ভাই। সাকিব ভাই তো ছিলেনই না। ওই হিসেবে আমি পুরো একটি দল নিয়ে নামতে পারব।

সারাবাংলা: কোথায় নিজের শেষ দেখতে চান?

মুমিনুল: সত্যি বলতে এভাবে কখনো ভাবিনি। যত দিন খেলি বাংলাদেশের জন্য ভাল কিছু দিয়ে যেতে চেষ্টা করব।

সারাবাংলা: করোনার সময়টা কীভাবে কাটছে?

মুমিনুল: সেই ২৫ মার্চ থেকে বাসায়। একবারের জন্যও বের হইনি। এক দিক দিয়ে করেনা কিছু ভালো বিষয় শিখিয়েছে; প্রতিনিয়ত জিম করা হচ্ছে, পরিবারকে সময় দিতে পারছি, ফিটনেস নিয়ে কাজটা খুব বেশি করা হচ্ছে। পরিবারকে মাঝে মাঝে সাহায্য করি, মুভি দেখি।

সারাবাংলা: আপনাকে ধন্যবাদ।

মুমিনুল: আপনাকেও।

অধিনায়ক বাংলাদেশ টেস্ট দল এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার টপ নিউজ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক সাক্ষাৎকার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর