Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেউলিয়া শব্দটির সঙ্গে একমত নয় বিসিবি


১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৫১

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে পুরো বিশ্বই থমকে আছে। অদৃশ্য এই শত্রুর মোকাবিলায় দেশে দশে চলছে লক ডাউন। নামান্তরে যা স্থবিরতার মুখে ঠেলে দিয়েছে জনজীবন ও অর্থনীতিকে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা আশু আর্থিক মন্দার শঙ্কা দেখছেন। যা প্রভাবিত করতে পারে ক্রীড়াঙ্গনকেও। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা স্পষ্টত উল্লেখ করেছেন যে একমাত্র ভারত (বিসিসিআই) ও ইংল্যান্ড (ইসিবি) ক্রিকেট বোর্ড ছাড়া বাকি সব বোর্ডই আর্থিকভাবে দেউলিয়া হতে পারে। কিন্তু তাদের দেওয়া এই তথ্যের সঙ্গে একেবারেই একমত নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। এবং আর্থিক মন্দার বিষয়টি ‍বিবেচনায় রেখে তারা যে শব্দটি ব্যবহার করেছে (দেউলিয়া) তার সঙ্গেও একমত নয় লাল সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রশাসন।

কেননা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান যে আর্থিক অবস্থা তাতে আগামি পাঁচ বছর বেশ ভালোভাবেই চলার সামর্থ্য তাদের আছে।

রোববার (১৯ এপ্রিল) সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

তিনি জানালেন, ‘পাঁচ বছর বিসিবি চলতে পারবে এটা নিয়ে আমরা ভাবনার কিছু দেখছি না। অতীতে আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করে চালিয়েছি সেভাবে যদি পারি তাহলে সেটা অসম্ভব না। তবে তারা যে শব্দটা ব্যবহার করেছে ‘দেউলিয়া’ হয়ে যাব, এখানে আমরা একমত না। চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। বড় রকেমর প্রভাবও থাকবে কিন্তু তাই বলে দেউলিয়া হয়ে যাব! এ বিষয়ে একমত নই। এভাবে আমরা অতীতেও বোর্ড চালাইনি, ভবিষ্যতেও হবে না।’

করোনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একে একে বন্ধ হয়ে গেছে ঘরোয়া ক্রিকেট, ফ্র্যাঞ্চাজি টুর্নামেন্টও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। সেই ধারাবাহিকতায় আগস্টে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপও মাঠে না গড়ানোর শঙ্কায় আছে। আর সেটা হলে আড়াই মিলিয়ন ডলার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে বোর্ড। তবে বিসিবি সিইও অবশ্য এভাবে ভাবতে চাইছেন না। বরং এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানো প্রসঙ্গে থাকতে চাইছেন ইতিবাচক।

‘পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কী করব না করব এটা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর কোনো দরকারই নাই। এশিয়া কাপ এখনো চার মাস বাকি। এটা নিয়ে এখনই ভয়ের কিছু নেই।’

আগামি মাসেই (মে) শেষ হয়ে যাচ্ছে জাতীয় দলের টিভি স্বত্বের মেয়াদ। এদিকে কোনো স্থায়ী টিম স্পন্সরও এই মুহুর্তে জাতীয় দলের সঙ্গে নেই। উদ্ভুত পরিস্তিতে মনে হতেই পারে করোনা পরিস্থির মধ্যে এই দুটি বিষয়ও বোর্ডকে আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলে দিতে পারে। সুজন অবশ্য বিষয়টি ঠিক এভাবে দেখছেন না। বরং দেখছেন সার্বজনীন দৃষ্টিকোণ থেকেই।

‘আর্থিক ক্ষতি ঠিক না। যদি বৈশ্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে সেটা আমার জন্য যেমন তেমনি ভারতের জন্যও। আমরা আলাদা কেউ না। সুতরাং নির্ভর করছে বৈশ্বিক অর্থনীতি কোন দিকে যায় এবং কি পরিমাণে বাজেট মার্কেটে পর্যাপ্ত থাকে। অতএব আপনাকে এটা দেখতে হবে বাজারে কি আছে এবং আপনি কি পাবেন। এগুলো পুরোপুরি অর্থনীতির ‍ওপর নির্ভর করবে। তবে প্রভাব অবশ্যই থাকবে।’

দেউলিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিসিবি সিইও সিইও নিজাম উদ্দিন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর