Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নড়াইলে এবার মাশরাফির ‘ডক্টরস সেফটি চেম্বার’


২৩ এপ্রিল ২০২০ ১৪:০১

করোনাকালে নিজ জেলা নড়াইলে একের পর এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজ অর্থায়নে নড়াইল সদর হাসপাতালে ‘ডক্টরস সেফটি চেম্বার’ বানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তী ও জেলাটির ২ আসনের এই সংসদ সদস্য। মূলত হাসপাতালের ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্যই চেম্বারটি স্থাপন করা হয়েছে। অর্থাৎ এই চেম্বারে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্তদের দেখা হবে। এরপর যদি মনে হয় তারা করোনায় আক্রান্ত তাহলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে করোনা ইউনিটে। নতুবা সেখান থেকেই তারা চিকিৎসা নিয়ে ফিরবেন।

বিজ্ঞাপন

কোনোভাবেই যেন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই আসছে নতুন নতুন আক্রান্ত ও মৃতের খবর। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। সময় যত গড়াচ্ছে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তবে আশার কথা হলো ভাইরাসটি এদেশে প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর শুরু থেকেই প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা।

সরকারি তহবিলের পাশাপাশি ক্রান্তিকালে নিজ উদ্যোগেও (নড়াইল ফাউন্ডেশন) আর্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নড়াইল সদর হাসপাতালে স্থাপন করলেন ‘ডক্টরস সেফটি কক্ষ।’ অর্থাৎ ডাক্তারদের সুরক্ষিত ঘর বানিয়ে দিলেন মাশরাফি।

বুধবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে সদর হাসপাতালের গেটের ভেতরে এই চেম্বার স্থাপন করা হয়। এই চেম্বারের মধ্যে বসবেন ডাক্তাররা। করোনা সন্দেহভাজন রোগীরা এই চেম্বারের বাইরে বসে চিকিৎসা সেবা নেবেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাশরাফি বিন মুর্ত্তজার ভাই মোরসালিন বিন মুর্ত্তজা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো হাসপাতালের ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই চেম্বারে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্তদের দেখা হবে। এরপর যদি মনে হয় তারা করোনায় আক্রান্ত তাহলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে করোনা ইউনিটে। নতুবা সেখান থেকেই তারা চিকিৎসা নিয়ে ফিরবেন। এতে করে ডাক্তাররা করেনায় আক্রান্ত হবেন না।’

করোনাকালে এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি দৃষ্টান্তমূলক কাজ স্বপ্রণোদিতভাবেই করেছেন লাল সবুজের এই আইকনিক ক্রিকেটার। এদেশে সংক্রমণ ছড়ানোর শুরুর দিকে ওই হাসপাতালের প্রবেশ পথে স্থাপন করেছেন জীবাণুনাশক কক্ষ। তাছাড়া কর্মহীন হয়ে পড়া নড়াইলের ৩শ রিকশা-ভ্যানচালক, রাস্তার পাশের চা বিক্রেতা, হকারদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। দান করেছেন বিসিবি থেকে পাওয়া এক মাসের বেতনের অর্ধেক। আর নিজ অর্থায়ানে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন নড়াইলের ১২শ পরিবারকে।

বিজ্ঞাপন

মাথায় রেখেছেন ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের সুরক্ষার ব্যাপারটিও। নিজের টাকায় ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের জন্য কিনে দিয়েছেন ৫শত পিপিই। এখানেই শেষ নয়, সাধারণ রোগীদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে তার নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম।

‘ডক্টরস সেফটি চেম্বার’ করোনা মোকাবিলা করোনাভাইরাস নড়াইলে মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা সেফটি চেম্বার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর