Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বুন্দেসলিগা মাঠে ফিরছে ৯ মে?


২৪ এপ্রিল ২০২০ ০৯:৪৫

করোনাভাইরাসের থাবায় গোটা বিশ্বই স্থবির হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে স্থবির হয়েছে ক্রীড়াঙ্গনও। বিশ্বের কোনো দেশেই মাঠে গড়াচ্ছে না কোনো ম্যাচ। এরই মধ্যে জার্মান ফুটবল লিগ (ডিএফএল) কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, আর সপ্তাহ দুয়েক পরেই মাঠে নামার জন্য ‘প্রস্তুত’ তারা। সুনির্দিষ্টভাবে বললে ৯ মে থেকে ফের লিগ শুরু করতে চায় তারা। প্রয়োজন হলে দর্শক ছাড়াই মাঠে গড়াবে ম্যাচ।

বিবিসির এক খবরে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, বুন্দেসলিগা ও জার্মানির দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলের আয়োজক ডিএফএল চলতি মৌসুমের খেলা শেষ করতে বদ্ধপরিকর। সে কারণেই দুই বিভাগের ৩৬টি পেশাদার ক্লাবকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বৈঠক হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তারা ফুটবল শুরু করতে চান।

ডিএফএলের প্রধান নির্বাহী ক্রিশ্চিয়ান সিফার্ট বলেন, ৯ মে থেকে লিগ শুরু করার জন্য আমরা প্রস্তুত। যদি এর পরের কোনো সময়ের কথা বলা হয়, সে অনুযায়ীও আমরা প্রস্তুত থাকব। আমরা নিশ্চয়ই খালি গ্যালারির সামনে খেলতে চাই না। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় এ ছাড়া অন্য কোনো উপায়ও দেখছি না।

ডিএফএল কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রস্তুত মনে করলেও আদৌ ফুটবল মাঠে নামানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য তারাই দিতে পারছে না। ক্রিশ্চিয়ান সিফার্ট বলেন, আমরা আমাদের মতো প্রস্তুত। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারি না।

চীনের পর ইউরোপে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে জার্মানিও বাদ পড়েনি এর আক্রমণ থেকে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। তবে শুরুতেই প্রচুর মানুষকে করোনা পরীক্ষার আওতায় এনে শনাক্ত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় দেশটিতে এই ভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। এই ভাইরাসে আক্রান্ত সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ মারা গেছেন, যেখানে বেলজিয়ামেও প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হলে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষ।

এ পরিস্থিতিতে ডিএফএল কর্তৃপক্ষ মাঠে ফুটবল গড়াতে চাইলেও সরকার কী বলছে? করোনাভাইরাসের কারণে জার্মান সরকার আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বড় জনসমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রেখেছে। ফলে বুন্দেসলিগা মাঠে গড়ালেও যে কোনো দর্শক থাকতে পারবে না, এটুকু নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে দুই দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, রেফারি, গ্রাউন্ড স্টাফসহ খেলা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জনবলই কেবল মাঠে থাকবেন। একেকটা ম্যাচের জন্য সেক্ষেত্রে স্টেডিয়ামে থাকবেন সর্বসাকুল্যে তিনশ জনের মতো মানুষ।

তবে এই তিনশ মানুষের সমাগমও হতে পারবে কি না, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত। কেননা জার্মানির ১৬টি রাজ্য ওই সময়ে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, কোনো একটি স্থানে কতজন পর্যন্ত ব্যক্তিকে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হবে। ওই সময় যদি রাজ্য সরকারগুলো মনে করে যে ফুটবল স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচের সময় তিনশ ব্যক্তির উপস্থিতি নিরাপদ, তবেই হয়তো বুন্দেসলিগা মাঠে গড়াবে।

শুধু তাই নয়, এর জন্য প্রতিটি ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রত্যেককে সুরক্ষার আওতায় আনার কথাও জানিয়েছেন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা। সবকিছু মেনে যদি বুন্দেসলিগা ৯ মে মাঠে গড়িয়েই যায়, এবং খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, সেটি নিঃসন্দেহে অন্য দেশগুলোর জন্য উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে।

করোনাভাইরাস জার্মান ফুটবল লিগ টপ নিউজ ডিএফএল বুন্দেসলিগা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর