২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজ দেশ পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে সানা মীরের। এরপর কেটে গেছে একে একে ১৫টি বছর, খেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে ২২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচও। আর দীর্ঘ ৮ বছর পাকিস্তান জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোট ১৩৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে। অবশেষে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন এই ক্রিকেটার।
গেল বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে খেলেছিলেন নিজের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এরপর ক্রিকেট থেকে নিয়েছিলেন অনির্দিষ্টকালের বিরতি। এরপর আর ক্রিকেটে ফেরা হলো না এক সময়ের পাকিস্তান দলের অধিনায়কের। খেলা হয়নি সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পাওয়ার পরেই বোঝা গিয়েছিল জাতীয় দলের দরজা আর খুলছে না সানা মীরের। ৩৪ বছর বয়সী মীর বলেছেন, তার এখনই সরে যাওয়ার উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে, ‘গত কয়েক মাস আমাকে ভাবনার সুযোগ করে দিয়েছে। আমার মনে হয়েছে সরে যাওয়ার এটিই সঠিক সময়। আমার বিশ্বাস, সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আমার দেশ ও ক্রিকেটকে সর্বোচ্চটা দিয়েছি।’
ক্যারিয়ারে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ১২০টি, যেখানে নামের পাশে আছে ১৫১টি উইকেট। আর টি-টোয়েন্টিতে ১০৬টি ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৮৯টি উইকেট। অবশ্য কেবল বল হাতে কেরামতি দেখাননি সানা। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতেও বেশ উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে নামের পাশে ১ হাজার ৬শ ৩০ আর টি-টোয়েন্টিতে ৮শ ২ রান।
অবসরের সম্পর্কে বলতে গিয়ে সানা বলেন, ‘আমি যখন আমার অভিষেকের দিকে তাকাই, এটা আমাকে তৃপ্তি দেয়। আমি এমন একটা প্রক্রিয়ার অংশ ছিলাম, যা লর্ডসের দর্শকভর্তি বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিল ২০১৭ সালে, এরপর এমসিজিতে ৮৭ হাজার দর্শকের সামনে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল। এগুলো মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য দারুণ সাফল্যের গল্প।’
পাকিস্তানের কিংবদন্তী নারী ক্রিকেটার সানা মীরের অবসরের সিদ্ধান্তে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সেদেশের বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের পক্ষ থেকে সানা মীরকে দারুণ সফল এক ক্যারিয়ারের জন্য অভিনন্দন জানাই। সে অনেক বছর ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান মুখ ছিল, এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য সে দারুণ এক অনুপ্রেরণা।’