বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই জয়টাই হার্দিকের ক্যারিয়ারের সেরা
২৬ এপ্রিল ২০২০ ১৮:০৮
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেই হারের কথা মনে আছে? স্বয়ং মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদই বলেন ওই হার ভুলে যাওয়ার মতো নয়। ব্যাঙ্গালুরুতে ভারতকে হারাতে শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১১ রান। উইকেটে তখন মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
হার্দিক পান্ডিয়ার করা শেষ ওভারের প্রথম তিন বল থেকেই ৯ রান তুলে নিয়ে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার। ওভারের প্রথম বলেই সিঙ্গেল নেন মাহমুদুল্লাহ। পরের দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে উল্লাস শুরু করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। শেষ তিন বলে যে লাগে মাত্র ২ রান। কিন্তু সবাইকে বিস্মিত করে এই ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
চতুর্থ বলটি ডিপ মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে শিখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচে পরিণত হন মুশফিক। পরের বলটি ফুলটস পেয়ে স্লগ করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল্লাহও। ওভারের শেষ বলে ব্যাটই লাগাতে পারেননি শুভাগত হোম। রান নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে রানআউট হন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ পর্যন্ত ১ রানের অবিশ্বাস্য জয় পায় ভারত। হার্দিক পান্ডিয়া বলছেন, ওই ম্যাচটিই এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ।
সম্প্রতি ভারতের আরেক তারকা ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ আড্ডা দেওয়ার সময় স্মৃতিচারণ করেছেন হার্দিক। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ওভারটি ছিল সবচেয়ে কঠিন। এখন পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচ সেটি।’
ওভারের প্রথম তিন বলে ৯ রান দিয়ে ফেলার পর মহেন্দ্র সিং ধোনি ও আশিস নেহরার পরামর্শ কাজে লেগেছিল বলেছেন হার্দিক। ভারতীয় অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার মনে আছে, মাহি (ধোনি) ভাই আর নেহরা ভাই ছুটে এসেছিলেন। আমি বলেছিলাম বাউন্সার করতে চাই। কিন্তু তারা বলেন এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এজ হয়ে কিপারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হয়ে যেতে পারে। তাই আমি অফস্ট্যাম্পের বাইরে বল করার সিদ্ধান্ত নেই।’
হার্দিকদের কাছে আনন্দের হলেও ওই হারের ক্ষত হয়ত কখনোই ভুলবে না বাংলাদেশি সমর্থকরা।