‘ভাবিনি এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে’
২৭ এপ্রিল ২০২০ ২২:১৯
খেলোয়াড়ি জীবনে তার নিয়মানুবর্তিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতো বরং বারই। অনেকেই বলেন, প্রতিভার যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে রোনালদিনহো বিশ্বসেরা হতেন। কিন্তু এসব আক্ষেপ থাকলেও শান্ত, বিনয়ী স্বভাবের রোনালদিনহো যে কারাগারে যাওয়ার মতো অপরাধ করতে পারেন সেটা হয়তো বিশ্বাস করেছিলেন না অনেকেই। বাস্তবতা হলো ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি কদিন আগেই ৩২ দিনের কারাভোগ করলেন।
ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে প্যারাগুয়ে প্রবেশ করার দায়ে গ্রেফতার হন বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার। ৩২ দিন কারাভোগের পর জামিন পেয়ে প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রোনালদিনহো বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে সেটা কল্পনাও করেননি তিনি।
প্যারাগুয়ের এক ক্যাসিনো উদ্বোধন করার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন রোনি। ভাই রবার্তো আসিসকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন সেখানে। সেই প্রতিষ্ঠানটির তত্বাবধায়নেই সব বন্দবস্ত হয়। কিন্তু পরে জানা গেল, ভুয়া কাগজপত্র সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্যারাগুয়ের আইন এটা মানতে চায়নি। গ্রেফতার করে সোজা কারাগারে পাঠানো হয় ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তিকে।
প্যারাগুইয়ান টেলিভিশন নেকওয়ার্ক এবিসি কালারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদিনহো বলেন, ‘আমরা ভীষণ অবাক হয়েছিলাম, যখন শুনলাম কাগজপত্র বৈধ নয়। তখন থেকে আমরা বিচার কার্যক্রমের নিয়ম মেনে বিষয়টি পরিষ্কার করতে সহযোগিতা করছি। ওই সময় থেকে আজ পর্যন্ত আমরা সবকিছুর ব্যাখ্যা দিয়েছি এবং আমাদের কাছ থেকে যা চাওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলো সহজ করার চেষ্টা করছি।’
২০০২ সালে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা রোনি বলেন, ‘এটা ছিল বিশাল ধাক্কা, আমি কখনও ভাবিনি এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে আমাকে কখনও যেতে হবে। আমি আমার গোটা জীবন ধরে চেষ্টা করেছি পেশাদারি জায়গার সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছানোর এবং আমার ফুটবল দিয়ে সবাইকে আনন্দ দেওয়ার।’
জামিন পেলেও অবশ্য দেশে ফেরার অনুমতি পাননি রোনাদিনহো। প্যারাগুয়েরই একটি অভিজাত হোটেলে ‘ঘরবন্দি’ দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সাজার তিন মাস পূর্ণ হলে তবেই পুরোপুরি মুক্তি মিলবে। রোনি বলেছেন, পুরোপুরি মুক্তি মিললে সবার আগে মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন।