Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পরিবর্তনের ইঙ্গিত নারী ক্রিকেটে


২৮ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৩৫

গায়ে তাদের এশিয়ার চ্যাম্পিয়নের তকমা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা দেখে মনে হলো বুঝি নবাগত কোনো দল খেলছে! গ্রুপ পর্বে চারটি ম্যাচ খেললো বটে কিন্তু একটিতেও জয়ের সোল্লাসে ভেসে মাঠ ছাড়া হলো না সালমা অ্যান্ড কোংদের। দলের এমন শোচনীয় পারফরম্যান্সে অনেকটা বাধ্য হয়েই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট উইং করোনা শেষে টিম রিপোর্ট নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। সেই আলোচনায় পরিবর্তন আসতে পারে নারী ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফে।

বিজ্ঞাপন

অথচ সালমা-জাহানরাদের সুবর্ণ সুযোগটি এসেছিল টুর্নামেন্টের একেবারে প্রথম ম্যাচেই (ভারতের বিপক্ষে)। কিন্তু ১৮তম ওভার থেকে রানের হিসেবে ভীষণ খরুচে হয়ে উঠলেন নাহিদা, সালমা। তাতে ১৭তম ওভারে ১১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে থরহরিকম্প দলটি অনায়াসেই ১৪৩ রান ছুঁয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেললো।

এর চাইতেও বড় সুযোগ এসেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে। জিততে টাইগ্রেসদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯২ রান। কিন্তু দলের অপরিণামদর্শী ব্যাটিংয়ে মুঠো গলে বেরিয়ে গেল বিশ্বযুদ্ধের মঞ্চের বহু কাঙ্খিত সেই জয়। বাকি দুই ম্যাচের ফলাফলও তথৈবচ। ফলে টানা তিন বিশ্বকাপে জয়হীন থাকল লাল সবুজের প্রমীলা দলটি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সত্বর আলোচনার টেবিলে বসার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছেন নারী ক্রিকেট উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

অবশ্য প্রণঘাতী করোনা মার্চের শুরুতে এদেশে প্রাদুর্ভাব না ছড়ালে নারী দল বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফেরার পরপরই অতীব জরুরী সেই সভাটি হতে পারত। যেহেতু হয়নি সেহেতু করোনা পরিস্থিতি উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সভায় বসতে চাইছে প্রমীলা ক্রিকেট উইং।

তবে একটি বিষয় তিনি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না যে, এশিয়া কাপে যে দলটি চ্যাম্পিয়নের মুকুট জিতে ফিরল তারা কী করে বিশ্বকাপে জয়হীন থাকতে পারে! বিষয়টি তাকে তো বটেই গোটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কপালেই চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সারাবাংলার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে তিনি একথা জানান।

‘দেখেন এশিয়া কাপ কিন্তু আমরা এই কোচিং স্টাফের অধীনেই জিতলাম। কিন্তু বিশ্বকাপে কেন এমন হলো ঠিক বুঝতে পারছি না। আমরা চেয়েছিলাম বিশ্বকাপ শেষে মার্চেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে। কিন্তু করোনার কারণে সেটা আর হয়ে উঠল না। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিশ্বকাপের রিপোর্ট নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব। দেখব কোথায় কি হয়েছে। যদি দেখি কোচিং স্টাফ বা অন্য কোথাও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন হয়ত হতেও পারে। তবে আমরা এখনই এভাবে ভাবতে চাইছি না। আগে তো আলোচনায় বসি।’

বিজ্ঞাপন

তবে নাদেল সরাসরি পরিবর্তনের কথা স্বীকার না করলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একাধীক সূত্র বলছে, নারী দলের কোচিং প্যানেলে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে হেড কোচ আঞ্জু জৈন’র সঙ্গে চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কেননা তার সঙ্গে এই বিসিবি’র চুক্তি ছিল বিশ্বকাপ পর্যন্তই।

তাছাড়া তার পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্ট নয় বোর্ড। বিশেষ করে খেলোয়াড়দের ওপর বাড়তি খবরদারির বিষয়টি নাকি ভালো চোখে দেখছে না লাল সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রশাসন।

এশিয়া চ্যাম্পিয়ন পরিবর্তনের ইঙ্গিত বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল সালমা-জাহানারা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর