Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাকালে রাজশাহীর ক্রীড়াবিদদের পাশে পাইলট


২৮ এপ্রিল ২০২০ ১৬:০৩

করোনাকালে মাশরাফি, সাকিব, তামিমদের মতো বসে নেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক দলপতি খালেদ মাসুদ পাইলটও। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের স্থবির অর্থনীতিতে নিজ জেলা রাজশাহীর দুঃস্থ খেলোয়াড়দের প্রতি বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত। অবশ্য তিনি একা নন, তার সঙ্গে আছেন এমসিসি (মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল) রাজশাহীর আরো প্রায় ২৪৯ জন। তবে মহতী উদ্যোগটি তারই নেওয়া।

সহায়তার শুরুটা করেছিলেন ক্রিকেটারদের দিয়ে। কিন্তু বাস্তবতার নিরীখে ক্রমান্বয়ে তা ক্রিকেটের গন্ডি ছাড়িয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে দেখেছেন জেলার হকি, ফুটবলসহ অন্যান্য ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়েরাও আর্থিক সংকটে ভুগছেন। ফলে তারাও এমসিসি রাজশাহী’র সহায়তা বঞ্চিত হননি। এমনকি গ্রাউন্ডসম্যানেরাও বাদ যাননি।

বিজ্ঞাপন

তবে সহযোগিতা দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা কোনো প্রথাগত পন্থা অবলম্বন করেননি। কৌশলটি একটু ভিন্ন। খেলোয়াড়দের ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে বলছেন, রমজানে আপনার জন্য একটি উপহার ব্যাগ আছে। দয়া করে এসে নিয়ে যান। সেই মোতাবেক একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তারা তাদের উপহার ব্যাগটি সংগ্রহ করে নিচ্ছেন।

এর পেছনে পাইলটের যুক্তি হলো, যেহেতু ওই খেলোয়াড়েরা সমাজে সম্মানিত এবং তাদের অনেকেই চেনে তাই লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহের বিষয়টি খুবই আপত্তিকর। সেকারণেই ব্যতিক্রমী উপায়টি অবলম্বন করা।

কী আছে সেই উপহার ব্যাগে? চাল, তেল, ডাল, আটাসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। জেলার প্রায় ২শ দুঃস্থ ক্রীড়াবিদ ও গ্রাউন্ডসম্যানদের মধ্যে ইতোমধ্যেই এভাবে খাবার বিতরণ করেছেন খালেদ মাসুদ পাইলট ও এমসিসি রাজশাহী।

সারাবাংলার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন লাল সবুজের ক্রিকেটের সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

বিজ্ঞাপন

‘এমসিসি রাজশাহীর হয়ে আমিই উদ্যোগ নিয়েছি। কেননা উদ্যোগ তো কাউকে না কাউকে নিতেই হবে। আমি তাদের সঙ্গে থেকেই উদ্যোগটা নিয়েছি। এখানে যারা আছে সবাই তো আর সহযোগিতা দিতে পরছে না। যারা পারছে তাদের নিয়েই যারা দুঃস্থ খেলোয়াড় তাদের সাহায্য করছি। কেননা এই খেলোয়াড়গুলো তো আর রাস্তায় লাইন ধরতে পারবে না। বা মানুষের কাছেও হাত পাততে পারবে না। যেহেতু খেলোয়াড় তাদের কমবেশি সবাই চেনে। আমরা বাজারের ব্যাগে বিভিন্ন খাদ্য উপকরণ চাল, ডাল, তেল, আটা থাকে। আমরা তাদের একটি এসএমএস দিয়ে বলি, আপনাদের জন্য রমজানের একটি উপহার আছে। আপনারা এসে নিয়ে যান। তারা তাই করছে।’

তবে শুধুই খেলোয়াড় পরিবারের মধ্যে সীমবদ্ধ থাকতে চাইছেন না পাইলট। জেলার সাধারণ মানুষের কাছেও দুর্দিনে সহযোগিতা পৌঁছে দিতে চাইছেন। আর এর মধ্য দিয়েই বিত্তবানদের প্রতি একটি বার্তাও দিতে চাইছেন- দেশের ক্রান্তিকালে তাদেরও ঢেঢ় করণীয় আছে।

‘পুরো খেলোয়াড় পরিবারকে সাহায্য দেওয়া হয়ে গেলে পবর্তীতে পরিকল্পনা আছে, জেলার ৫শ দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ করব। এবং সেগুলো আমরা মেয়র বা জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা খাবারগুলো তুলে দিব। এটি আমাদের একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর পেছনে উদ্দেশ্য হলো, আমাদের দেখে সমাজের অন্যান্য বিত্তবানেরাও করোনার সময় দুঃস্থদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবেন।’

এবার আসুন পাইলটের এমসিসি রাজশাহী সম্পর্কে একটু জেনে নেই। দেশের ক্রিকেটের উৎকর্ষতা সাধনে রাজশাহী জেলার সাবেক আড়াইশ ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে গড়ে উছেছে এই সংগঠনটি। প্রতি বছরই কয়েকটি দল তৈরী করে তারা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকেন।

করোনাকালে করোনাভাইরাস খালেদ মাসুদ পাইলট রাজশাহীর ক্রীড়াবিদদের পাশে সাহায্য

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর