‘দ্য হান্ড্রেড’ পেছানোর পক্ষে মঈন আলীও
৩০ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৫৪
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাইয়ে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল আলোচিত ‘দ্য হান্ড্রেড’ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম আসরটি। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসে তৈরি হয়েছে নানান অনিশ্চয়তা। টুর্নামেন্টটি পিছিয়ে দেওয়ার আলোচনা চলছে। কদিন আগে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন বলেছিলেন, টুর্নামেন্টটির স্বার্থেই এটা পিছিয়ে দেওয়া উচিৎ। এবার ভনের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ঠিক একই কথা বললেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার মঈন আলীও। টুর্নামেন্টটি পিছিয়ে আগামী বছর আয়োজনের প্রস্তাব তুলেছেন তিনি।
মঈন বলেন, ‘দেশের ক্রিকেটের জন্য এটা বড় একটি বিষয়। আমরা চাই যখন সবকিছু (করোনাভাইরাস পরিস্থিতি) ঠিক হয়ে যাবে, বিশ্বজুড়ে কোনো সমস্যা থাকবে না তখনই এটি হোক।’
অল্প দিনের মধ্যে ইংল্যান্ডে ক্রিকেট আয়োজন ঠিক হবে না বলেছেন ইংল্যান্ডের আরেক তারকা ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট ব্রডও। টেস্ট স্পেশালিস্ট পেসার বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, ঝুঁকির মধ্যে খেলা ঠিক হবে। আমার মনে হয়, সরকার কর্তৃক যখন পূর্ণ নিরাপদ ঘোষণা করা হবে তখনই কেবল আমাদের লাইভ ক্রিকেট খেলা শুরু করা উচিৎ হবে।’
দ্য হান্ড্রেড অর্থাৎ একশ বলের ক্রিকেট টুর্নামেন্টটি নিয়ে আলোচনা চলছে শুরু থেকেই। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়ালস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) টুর্নামেন্টটির প্রথম মৌসুমের জন্য বাজেট ধরেছে ৫৮ মিলিয়ন পাউন্ড। বিশাল বাজেটের বিষয়টিও বাড়তি আগ্রহী করেছে অনেককে। বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে ক্রিকেট নিয়ে ইংলিশদের মধ্যে যে বাড়তি উন্মাদনা তৈরি হয়েছে সেটা কাজে লাগিয়ে দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্ট সফল করতে চায় ইসিবি। পুরুষ ও নারী আলাদাভাবে আগামী ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। শেষ হওয়ার কথা ১৫ আগস্ট।
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধ। করোনার প্রভাবে ইংল্যান্ডও আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ ঘোষণা করেছে। তারপর ক্রিকেট শুরু হলেও এমন বড় একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কষ্টকরই।
কারণ করোনায় স্থগিত হওয়া আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদিকে, সামনে উঁকি দিচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের মতো বড় দুটি আন্তর্জাতিক আসর। ফলে জুলাইয়ে বড় পরিসরে কোন ঘরোয়া ক্রিকেটা টুর্নামেন্ট আয়োজন এবং তাতে তারকা ক্রিকেটারদেও নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভবই। দেখা যাক, ইসিবি শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে ইংল্যান্ডের আট শহরের আটটি দল নিয়ে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল প্রথম আসর। প্রত্যেকটি দল নিজেদের মতো দল গুছিয়ে নিয়েছিল। তবে দ্য হান্ড্রেডের প্রাথমিক ড্রাফটে ১১ বাংলাদেশি ক্রিকেটার থাকলেও কেউই পায়নি দল। আর এই তালিকায় ছিলেন সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালও।
প্রথমে কেবল সাকিবের নাম শোনা গেলেও তার সাথে একই পারিশ্রমিক ক্যাটাগরিতে নাম ছিল তামিম ইকবালেরও। সাকিব-তামিমকে দলে ভেড়াতে হলে দলগুলোকে খরচ করতে হতো কমপক্ষে ১ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। তবে ড্রাফটে থাকা বাকি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কোনো ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা ছিল না।