হাথুরুসিংহেই বদলে দিয়েছিলেন রিয়াদের টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং
৪ মে ২০২০ ১২:৪৮
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আর সেই সঙ্গে লোয়ার মিডল অর্ডারের নির্ভরতার প্রতীক সাইলেন্ট কিলার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলের প্রয়োজনের মুহুর্তে আবির্ভুত হন ব্যাট হাতে, আর রক্ষা করেন দলকে। দুর্দান্ত ব্যাটিংটাই তাকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসেবে নাম এনে দিয়েছে। তবে সব সময় ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এমন ব্যাটিং করতেন না রিয়াদ। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের ক্যাম্পে সাবেক হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে ব্যক্তিগত কাজ করার ফলে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাস বদলে গিয়েছিল তার জানালেন রিয়াদ নিজেই।
তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভ আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন টাইগার দলপতি রিয়াদ। সেখানেই আড্ডায় উঠে এসেছে নানান জানা-অজানা তথ্য। আড্ডায় তামিম জানান তার চোখে দেশের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান আর কেউ নয়, মাহমুদুলাহ রিয়াদ। এর কারণ হিসেবে ওয়ানডে দলপতি বলেন, মাহমদুল্লাহ যে পজিশনে ব্যাটিং করেন। আর দলের জয়েও মাহমুদুল্লাহর ব্যাটিং পারফরম্যান্স সেই সমর্থনই দেয়।
বাংলাদেশের জয়ে মাহমুদউল্লাহর অবদান সমর্থন করে সংখ্যাও। জেতা ম্যাচগুলিতে কমপক্ষে ২০ ইনিংস ব্যাটিং করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বাংলাদেশের মাঝে সবচেয়ে বেশি ১৪৪ স্ট্রাইক রেট মাহমুদউল্লাহর, ক্যারিয়ার গড়ও ২৪ থেকে বেড়ে হয়ে যায় ৩৫।
দেশের অন্যতম সেরা ফিনিশার মাহমুদুল্লাহ, ওয়ানডে কিংবা টেস্টের থেকে অবশ্য টি-টোয়েন্টিতেই এই প্রমাণ বেশি দিয়েছেন তিনি। ইনস্টাগ্রাম লাইভে তার সঙ্গে কথা বলার সময় টি-টোয়েন্টিতে নিচের দিকে ব্যাটিংয়ের মন্ত্রটা জানতে চেয়েছিলেন তামিম। জবাবে রিয়াদ বলেন, ‘ম্যাচের অবস্থা বুঝে খেলতে হবে, এছাড়া উপায় নাই। যখন শুরুতে আটে ব্যাটিং করতাম, তখন তো আরও কঠিন ছিল। এখন পাঁচ-ছয়ে ব্যাটিং করি, কিছুটা হলেও সময় পাই মানিয়ে নেওয়ার। শুরু থেকেই চেষ্টা থাকত, পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার। মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা ডেভলপ করতে হবে। হয়তো এখনও ধারাবাহিকভাবে পারি না।’
রিয়াদ জানান হাথুরুসিংহের অধীনে কিভাবে বদলে গিয়েছিল তার ব্যাটিংয়ের ধরন। কিভাবে সে সময়কার কোচ তাকে সাহায্য করেছিল আরো ভালো ব্যাট করতে এবং কৌশলী হতে। ‘হাথুর (হাথুরুসিংহে) সাথে ক্যাম্প করছিলাম, ২০১৬ সালে খুলনায়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে। তখন ব্যক্তিগতভাবে কাজ করা হয়। মেন্টালি, স্কিল হিটিংয়ে- সেটা কাজে দিয়েছে। আগে একটু সময় নিতাম, এখন প্রথম বল থেকে আত্মবিশ্বাসী থাকি যে মারতে পারবো। পরিস্কার মানসিকতা থাকা জরুরী, যারা এখানে ব্যাটিং করে। খুবই স্বার্থহীনভাবে খেলতে হবে। অনেক সময় নিজের উইকেটও ‘স্যাক্রিফাইস’ করতে হবে দলের জন্য। ‘ফ্রিডম’ নিয়ে না খেললে সুযোগ কমে যাবে (ভাল খেলার)।’