Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিপজ্জনক ফিজিওথেরাপি, ক্রিকেটারদের জন্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক


৪ মে ২০২০ ২১:৩৩

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দেশের ক্রিকেট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। কবে ফিরবে তা কেউ জানে না। শুধু ক্রিকেটই কেন? লাল সবুজের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা বিসিবিও বন্ধ। কর্মকর্তারা দাপ্তরিক কার্যাদি সারছেন বাসা থেকে। বলার অপেক্ষাই থকছে না উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সংস্থাটির মেডিকেল বিভাগও করোনা প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর শুরু থেকেই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। ফলে অনুমিতভাবেই বিসিবিতে ক্রিকেটারদের ফিজিওথেরাপি কার্যক্রমও নেই। যাও আছে তা মোবাইল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে।

বিজ্ঞাপন

কারণটিও তো কম সঙ্গত নয়। ফিজিওথেরাপি এমনই এক চিকিৎসা যা দূরে থেকে কোনোভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। দিতে হলে যেতে হয় প্লেয়ারদের একেবারে নিঃশ্বাস দূরত্বে। যা কীনা করোনাকালে বস্তুতই অসম্ভব। করোনা পরিস্থিতির পর মাঠে খেলা ফেরাতে প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি সে প্রশ্নের জবাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়টিই মনে করিয়ে দিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। বললেন, এই মুহুর্তে থেরাপি বন্ধ। এমনকি পরিস্থিতির উন্নতি হলে মাঠে খেলা ফিরলেও তা দেওয়া মারাত্মক ঝূকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক হবে। তাই থেরাপি দেওয়ার আগে ক্রিকেটার ও নিজেদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৪ মে) সংবাদ মাধ্যমকে তিনি এতথ্য দিয়েছেন।

দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘অবশ্যই ফিজিওথেরাপি বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে আমাদের কোনো থেরাপিস্ট এ কাজ করছেন না। শুধু মোবাইলে বা ভিডিও কলে পরামর্শ দিচ্ছেন। এই চিকিৎসায় ক্রিকেটার ও থেরাপিস্টদের ৬ ফিট দূরত্ব রাখা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। কারণ থেরাপি শুধু পরামর্শ দিয়েই হয় না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাতের স্পর্শ লাগে। এ জন্য আমরা ঠিক করেছি ক্রিকেটার ও আমাদের প্রাথমিকভাবে টেস্ট করাতে হবে। এবং এন্টিবডি টেস্ট ও করাতে হবে। নয়তো ঝুঁকিমুক্ত ফিজিওথেরাপি করা যাবে না।’

আর সেই পরীক্ষা করাতে ক্রিকেটার. চিকিৎসক, থেরাপিস্ট ও বিসিবি স্টাফদের যেতে হবে বেসরকারি হাসপাতালে। এবং সেজন্য ৩ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে বলে জানান দেবাশীষ। ‘আমরা তো আর নিজস্ব ল্যাব বসাতে পারবো না। তাই ভালোমানের বেসরকারি হাসপাতালেই করতে হবে। হ্যাঁ, এটি খুবই ব্যয়হুল। যে কারণে একবারেই সবার টেস্ট করানো সম্ভব হবে না। প্রয়োজন মতো করতে হবে। যেমন বিসিবি’র চুক্তিবদ্ধ যারা তাদের টেস্টগুলো করানো হবে। কিন্তু যারা ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ খেলে ও বিসিবি’র চুক্তিবদ্ধ নয় তাদের টেস্টের দায়িত্ব নিতে হবে ক্লাবগুলোকেই। খেলা মাঠে শুরু হলে তার ওপর ভিত্তি করেই পর্যায়ক্রমে টেস্টগুলো করানো হবে। তবে কিছু টেস্ট শুরুতেই করাতে হবে।’

করোনাভাইরাস ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা ক্রিকেটারদের ফিজিওথেরাপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর