আসিফের আঙুল বোর্ডের সঙ্গে যুক্তদের দিকেও
৫ মে ২০২০ ১৪:৫৬
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৭ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আসিফ। এরপর থেকে আর কখনোই পাকিস্তানের জার্সি পরে মাঠে নামা হয়নি। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস এরপরে শোয়েব আখতারদের আগুন ঝরা পাকিস্তানের পেস বোলিং বিভাগ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পেয়েছিলেন আসিফ। তবে সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেছে। এখন তাই তো আঙুল তুলছেন দুর্নীতিগ্রস্থদের দিকে। আসিফের অভিযোগ তার আগে ও পরে যারা দুর্নীতি করেছে তারা পাকিস্তানের হয়ে খেলেছে এবং এখনো খেলছ তবে তার ক্ষেত্রে কেন ব্যতিক্রম হলো?
সোমবার জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভেতর জমে থাকা সব কথাই যেন উগড়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ আসিফ। তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভুল করে। আমিও করেছি। এ রকম তো নয় যে, আমার পরে কোনো ক্রিকেটার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়নি। আমার আগেও যারা দুর্নীতি করে গিয়েছে, তারাই এখন ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত। যারা আমার পরে এই সব করেছে, তারা এখনও খেলছে। শুধু আমাকে ক্ষমা করা হলো না।’
এখন আর জাতীয় দলে ফেরার পিছুটান নেই আসিফের। আর তাই তো সবকিছু উগড়ে দিচ্ছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেটারদের নামের সঙ্গে বেশিরভাগ সময়ই দুর্নীতির কালিমা লেপ্টে থাকে। সদ্যই ম্যাচ পাতানোর কথা গোপন করে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধা হয়েছে উমর আকমল। আবার অবসর নেওয়া পেসার রানা নাভিদুল জানিয়েছেন দলের অধিনায়কের বিপক্ষে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাই।
মোহাম্মদ আসিফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার ছোট হলেও পেসার হিসেবে দুর্দান্ত প্রভাব ফেলেছিলেন। মাত্র ২৩টি টেস্ট খেলে নিয়েছিলেন ১০৬টি উইকেট। আর রঙিন পোষাকে ৩৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ঝুলিতে পুরেছিলেন ৪৬টি উইকেট। সাবেক এই পাকিস্তানি পেসারের এ ব্যাপারে বলেন, ‘এই ছোট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে যা প্রভাব ফেলেছি, অনেকেই তা পারেনি। এখনও এবি ডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলা, কেভিন পিটারসেনরা আমাকে নিয়ে আলোচনা করে। তা হলেই বুঝুন, সবাই কী রকম ভয় পেতে শুরু করেছিল আমাকে।’
পাকিস্তানি ক্রিকেটার বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত মোহাম্মদ আসিফ ম্যাচ ফিক্সিং সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা