৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবকিছু থমকে গেছে। স্থবির জনজীবন আর সেই সঙ্গে স্থগিত ক্রিকেট। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট বন্ধ হয়ে থাকায় লোকসান গুনছে ক্রিকেট বোর্ডগুলো। তবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডে- ইসিবি’র লোকসানের পরিমাণ হয়ত একটু বেশিই হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন জানিয়েছেন এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন পাউন্ড যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৯ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকারও বেশি।

ইংল্যান্ডে আগামি ১ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার। আর এতেই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ দ্য হান্ড্রেডের প্রথম আসর স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে ইসিবি। ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল ১০০ বলের ক্রিকেট টুর্নামেন্টটি। তবে তা পিছিয়ে ২০২১ সালে আয়োজিত হবে বলে জানানো হয়েছে। আর এতেই নিজেদের ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন হ্যারিসন।

বৃটিশ মেম্বার অব পার্লামেন্ট এবং ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন বিবিসি’কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ৮০০ দিনের ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইসিবি। আমরা ধারণা করছি এই বছরে ক্রিকেট স্থগিত হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন পাউন্ড হবে। তবে আশা করছি আসছে দিন গুলোতে আমরা বেশি বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারবো এবং ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠতে পারবো।’

সামনের গ্রীষ্মে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার কথা ছিল ইংলিশদের, আবার সেই সঙ্গে আয়ারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ নিয়েও শঙ্কা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষের টেস্ট সিরিজ বন্ধ স্টেডিয়ামে খেলার কথাও মাথায় রেখেছে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড।

এছাড়া দ্য হান্ড্রেড স্থগিত করায় ইসিবি’র লোকসানের পরিমাণ বেড়ে গেছে বহুগুণে। কারণ এ বছর দ্য হান্ড্রেডের ১ লাখ ৭০ হাজার টিকিট ইতোমধ্যেই বিক্রি করে ফেলেছিল ইসিবি। আর সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টের বাজেট ছিল ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড।  আর এই টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ১১ মিলিয়ন পাউন্ড লাভ করার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন হ্যারিসন।

তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপ ছাড়া আর কোনো টুর্নামেন্টের টিকিটই এত দ্রুত কখনোই আমরা বিক্রি করতে পারিনি, যেমনটা বিক্রি হয়েছে দ্য হান্ড্রেডের। এই সময়টা ছিল আমাদের ক্রিকেটের দর্শক বাড়ানোর সময়। আর এই টুর্নামেন্ট দিয়েই আমরা ১১ মিলিয়ন পাউন্ড লাভ করার পরিকল্পনা করেছিলাম।’

তবে সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের। সব ধরনের ক্রিকেট জুলাই পর্যন্ত স্থগিত। আর তাতেই এত বড় ক্ষতির মুখে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড করোনাভাইরাস করোনায় ক্রিকেট স্থগিত ক্রিকেট স্থগিত সিরিজ স্থগিত