করোনা শেষে ট্রেনিং ক্যাম্পের ওপর গুরুত্বারোপ মুশি’র
৭ মে ২০২০ ২১:৩৬
করোনার কারণে প্রায় তিন মাস মাঠে খেলা নেই, নেই অনুশীলনও। দিন যতই গড়াচ্ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হার। থেমে নেই মৃত্যুর মিছিলও। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হোম অব ক্রিকেট আবার কবে টাইগারদের পদচারণায় মুখর হবে কেউই তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না। ফলে ঘরে বসেই নিজ উদ্যোগে এবং বিসিবি মেডিকেল বিভাগের বাতলে দেওয়া নির্দেশনায় শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখছেন টাইগাররা। কিন্তু এটাও তো ঠিক যে, করোনার সংক্রমণ একদিন থেমে যাবে, ক্রিকেটও মাঠে ফিরবে। ঘরোয়া ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততায় আবারও মুখর হবে হোম ক্রিকেট।
বিপত্তিটা এখানেই! এত লম্বা সময় ঘরে বসে থাকায় টাইগারদের আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফিটনেস কিংবা স্কিল নিশ্চয়ই আগের মতো নেই। তাছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট যেমন তেমন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাস্তবতা সম্পুর্ণ ভিন্ন। এখানে ফিটনেস যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন স্কিলের উৎকর্ষতা (ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং)। যা কীনা লম্বা এই সময় টাইগাররা ঘরে বসে থাকায় উবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সেকারণেই করোনা শেষে ১ মাসের ট্রেনিং ক্যাম্পের ওপর স্ববিশেষ গুরুত্বারোপ করছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। যেখানে ফিটনেস ও স্কিল নিয়ে তিনি ও তার সতীর্থরা কাজ করার বিস্তর সুযোগ পাবেন। অথবা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়েও এই প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব বলে মত মুশির। এবং তিনি আশংকা করছেন করোনা শেষে তাদের আন্তর্জাতিক সূচীও বেশ কঠিন হয়ে উঠবে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিকেলে এক ফেইসবুক পেইজে দেওয়া আড্ডায় তিনি একথা জানান।
মুশফিক বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক সূচি হয়তোবা এখন একটু কঠিন হয়ে যাবে। ব্রেক একটু কম হবে, সিরিজ বাই সিরিজ একটু তাড়াতাড়ি হবে। আমার মনে হয় যে, আমাদের অবশ্যই একটা ভালো পরিকল্পনা করা উচিৎ। কারণ যখন আমরা নিয়মিত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট খেলতে থাকবো তখন ইনজুরির একটা শঙ্কা থাকে। এটা শুরু হওয়ার আগে যদি হয় ভালো, আমরা যদি ১৫-২০ দিন বা ১ মাসের একটা ক্যাম্প করতে পারি। যেখানে আমাদের স্কিলগুলো, ফিটনেস যেটা আমরা করতে পারছি না। সেটা যেন উন্নতি করতে পারি। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয় তাহলে অবশ্যই খুব ভালো একটা দিক। যেখানে খেলে আমরা টপ লেভেলের ক্রিকেটের জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারবো।’
করোনা শেষে অনুশীলনে ট্রেনিং ক্যাম্প ফেইসবুক লাইভ আড্ডায় মুশফিকুর রহিম