জাতীয় দলের স্বার্থে লিগ চান ফুটবলাররা
৮ মে ২০২০ ১৭:৫৪
স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে মার্চ মাসে বন্ধ হয়ে যায় দেড় মাস চলা লিগের প্রথম পর্ব। এরপর থেকেই তর্ক-বিতর্কে আলোচনার সামনে লিগ বাতিলের বিষয়টি। সিংহভাগ ক্লাবই লিগ বাতিলের পক্ষে। সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে দুই-তিন দিনের মধ্যে। তবে আপাতত লিগ চালু রাখার পক্ষে খেলোয়াড়রা। অন্তত জাতীয় দলের কথা মাথায় রেখে লিগ চালু রাখতে চান ফুটবলাররা।
খেলোয়াড়দের দাবি করোনাক্রান্তি কেটে গেলেই আন্তর্জাতিক ফুটবল শুরু হবে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলো এখনও বাকী। যেখানে বাংলাদেশের তিনটি হোম ম্যাচই আছে। খেলার মধ্যে না থাকলে আন্তর্জাতিক আসরে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মত খেলোয়াড়দের।
যেমনটা জাতীয় দলের ডিফেন্ডার তপু বর্মণ বলছেন, ‘অবশ্যই আমাদের লিগটা চলমান রাখা উচিৎ। আমরা লিগে ভাল করলে প্রত্যেকটা প্লেয়ার জাতীয় দলে ভাল পারফরম্যান্স করতে পারবো।’
এমনি শিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে লিগ পিছিয়ে যায় কয়েকবার। তারউপর বিলম্বের মধ্যে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়ায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বাদশ আসর। শেষ হওয়ার কথা ৩০ জুলাই। তার মধ্যেই ছয় রাউন্ড যেতে না যেতেই করোনার বড় ধাক্কা। ১৫ মার্চে আবাহনী-মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচটাই ছিল সবশেষ ম্যাচ। তারপরেই মাঠে বল গড়ানো বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রায় দুই মাস ধরে ফুটবল মাঠের বাইরে। লিগ বাতিল হয়ে গেলে এর প্রভাবটা সরাসরি পড়বে জাতীয় দলে বলে মনে করেন মিডফিল্ডার তারকা ফুটবলার মামুনুল ইসলাম মামুন, ‘যদি লিগ না হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে জাতীয় দলে। এটা আমার ধারণা। আমার মনে হয় লিগটা চালানো উচিৎ।’
খেলার বাইরে থাকলে খেলোয়াড়দের ফিটনেস থেকে শুরু করে আত্মবিশ্বাস ও মানসিকতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা, ‘জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভাল করার উপায় হলো লিগে নিয়মিত থাকা। জাতীয় দলের খেলা থাকবে। সেক্ষেত্রে আমাদেরই আসলে একটা ঝামেলার মধ্যে থাকতে হবে। ফিটনেস লেভেল নিয়ে বড় ধরনের একটা ঝুঁকিতে থাকতে হবে।’
লিগ বাতিলের বিষয়ে সোমবার (১১ মে) একটি বৈঠক করবে বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি। ফেডারেশনকে লিগ চালু রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে বলছেন ফুটবলাররা।
সারাবাংলা/জেএইচ