কোহলির সঙ্গে তিক্ততার গল্প শোনালেন রুবেল
৯ মে ২০২০ ০২:১৮
স্লেজিং ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করার পর দু’পা এগিয়ে একটু টিপ্পনী কেটে আসবেন বোলার, ক্রিকেট এমন ঘটনার সাক্ষী সেই শুরু থেকেই। ক্রিকেটের নিয়মে অবশ্য স্লেজিংয়ের জায়গা নেই। তবে নিষেধাজ্ঞাও নেই। স্লেজিংয়ের কিছু ঘটনা মাঝে মধ্যে বাড়তি আলোচনার জন্মও দেয়। এই যেমন রুবেল হোসেন আর বিরাট কোহলি। মাঠে মুখোমুখিতে শারীরী ভাষা দেখলে মনে হয়, দুজন দুজনার জনম জনমের শত্রু! সুযোগ পেলে কেউই কড়া স্লেজিংয়ের সুযোগ নষ্ট করেন না। এই তিক্ততার শুরুটা কোথায়? রুবেল হোসেন জানালেন সেই কথা।
শুক্রবার (০৮ মে) রাতে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুক লাইভ আড্ডায় যুক্ত হয়েছিলেন রুবেল, সঙ্গে ছিলেন তারকা পেসার তাসকিন আহমেদও। একটা পর্যায়ে বিরাট কোহলির সঙ্গে দ্বৈরথের কথা উঠলে রুবেল জানালেন, তার সঙ্গে ভারতীয় অধিনায়কের তিক্ততার শুরুটা বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে।
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সিরিজের অপর দুই দল ছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। ভারতীয় দলে ছিলেন কোহলি আর বাংলাদেশ দলে রুবেল। ওই সিরিজে ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি লড়াইয়ে রুবেল-কোহলির দ্বন্দ্বের শুরু।
রুবেল বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি। তখন থেকে ওর সঙ্গে দ্বন্দ্ব লেগে আছে। ও তখন অনেক বেশি স্লেজিং করত। হয়তো জাতীয় দলে একটু কমেছে, তবে অনূর্ধ্ব-১৯-এ প্রচুর স্লেজিং করত সে। দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা ম্যাচ ছিল, ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে। ও প্রচুর পরিমাণে স্লেজিং করছিল, আমাদের যে ব্যাটসম্যান নামছিল তাকেই গালিগালাজ করছিল উল্টাপাল্টাভাবে। কীভাবে গালিগালাজ করছিল, সেটা আমরা সবাই জানি।’
রুবেল বলেন, ‘তখন ওখানে খুব খারাপ একটা ঘটনা ঘটে। আমি ওকে আউট করার পর গালিগালাজ করেছিলাম। এরপর ও ব্যাটটা উল্টো করে ধরে আমার দিকে। আমাকে একটা গালি দিয়েছিল। তখন আমি ওর দিকে তেড়ে যাই, ও আমার দিকে তেড়ে আসছিল। এরপর আম্পায়ার এসে বিষয়টা সামলিয়েছে। তখন থেকেই ওর সঙ্গে আমার একটা দ্বন্দ্ব। এরপর জাতীয় দলেও ওর সঙ্গে আমার দুয়েক বার আমার সঙ্গে ওর ঝামেলা বেঁধেছে। তবে শুরু মূলত অনূর্ধ্ব-১৯ থেকেই।’
তামিম ইকবাল তাসকিন আহমেদ তিক্তরার গল্প ফেইসবুক লাইভ আড্ডায় বাংলাদেশ বনাম ভারত রুবেল বনাম বিরাট কোহলি