ইনিংস বড় করার রহস্য জানালেন রোহিত
১৬ মে ২০২০ ০২:০০
রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে রোহিত শর্মাকে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তার একটি ক্রিকেটীয় ক্ষমতা বরাবরই অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রাখে তাকে। ভারতীয় তারকা বড় ইনিংস খেলতে ‘ওস্তাদ’। যেদিন খেলেন সেদিন বড় ইনিংসই খেলেন। আর তাই তো তার নামের পাশেই ওয়ানডেতে তিন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে রোহিতের মোট শতকের সংখ্যা ২৯টি। তার মধ্যে ডাবল সেঞ্চুরি তিনটি! ওয়ানডেতে একের অধিক ডাবল সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার রোহিত। ওয়ানডের সর্বোচ্চ রানের স্কোরটিও (২৬৪ রান) তার দখলেই। ওয়ানডেতে দেড়শ পেরুনো ইনিংস খেলেছেন পাঁচবার। ১৪০ পেরিয়েছেন আরও চারবার। পরিসংখ্যানই বলছে বড় ইনিংস খেলতে কতটা পটু রোহিত। এর রহস্য কি? রোহিত বললেন, ‘উপভোগ’।
করোনাভাইরাসের এই ক্রিকেটহীন সময়টাতে বিভিন্ন ক্রিকেটারদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ আড্ডায় যুক্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দেশীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় সমর্থকদের সাড়া পাওয়া তামিম দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার ফাফ ডু-প্লেসিকে লাইভে নিয়েছিলেন। শুক্রবার (১৫ মে) তামিমের অতিথি ছিলেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার রোহিত শর্মা। লাইভ আড্ডায় রোহিতের কাছে বড় ইনিংস খেলার রহস্য জানতে চান তামিম।
জবাবটা রোহিতের মুখেই শুনুন, ‘ইনিংসের শুরুতে আমি চাপে থাকি। যখন খেলতে খেলতে সেঞ্চুরি করে ফেলি, তখন আর কোনো চাপ অনুভব করি না। নির্ভার হয়ে খেলতে চেষ্টা করি। আমার কাজ থাকে ৪০-৪৫ ওভার পর্যন্ত খেলে যাওয়া। ৪২ ওভারের পর চেষ্টা করি প্রতিটা বল মারতে। এটা অনেক সময় নির্ভর করে আমার সঙ্গে উইকেটে কে আছে, সেটির ওপর। যদি দেখি মিডল অর্ডারের সেট কোনো ব্যাটসম্যান আছে বা পরে আরও ব্যাটসম্যান আছে, তখন বড় শট খেলার সুযোগ নিই।’
এরই মধ্যেই ওয়ানডেতে ভারতের সপ্তম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বনে গেছেন রোহিত। বয়স সবে ৩৩ হলো। ফলে ফর্মটা ধরে রাখতে পারলে নিশ্চয় আরও উপরে উঠবেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে এতদূর নাও আসতে পারতেন রোহিত। কেন? জানিয়েছেন সেই কথাটিও।
২০০৭ সালের জুনে অভিষেক হলেও ২০১৩ পর্যন্ত তার ওয়ানডে সেঞ্চুরি ছিল মাত্র ২টি। আগে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতেন। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে পুরোদমে ওপেনার বনে যান। ক্যারিয়ারের মোড় ঘুড়ে যায় সেখান থেকেই।
সেই গল্পটাও শোনালেন রোহিত, ‘আসলে আমি আগে ওপেনিং করতাম না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ২০১৩ সালে প্রথম ওপেনিং শুরু করি। এর আগে মাঝে মধ্যে করেছি কিন্তু নিয়মিত না। আসলে তখন অনেক ভুল করেছি। আমি জানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবাই অনেক ভুল করে। কিন্তু ভুল নিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। তাই আমি নিজেকে নিয়ে অনেক ভেবেছি। আর সেসব বিষয় নিয়ে আমি কাজও করেছি।’
ওপেনিংয়ে লম্বা সময় সঙ্গী হিসেবে শিখর ধাওয়ানকে পেয়েছেন রোহিত। তার প্রসংশা করতেও ভুলেননি, ‘ওপেনিংয়ে আমার সঙ্গী শেখর ধাওয়ান। ও দুর্দান্ত একজন ব্যাটসম্যান। ধাওয়ান আমার কাজটা অনেক সহজ করে দেয়। যখন আমাদের ৩০০ বা সাড়ে তিনশ তাড়া করতে হয় তখন কেবল শেখর না আমিও জানি আমার কি করতে হবে। তখন আমাকেও হিট করে খেলতে হবে।’