দলের স্বার্থে আমি ওসব মেনে নিই: সৌম্য
১৭ মে ২০২০ ০২:৪০
‘ভয়ডরহীন’ ক্রিকেটের বার্তা দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু সৌম্য সরকারের। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে সৌম্যকে বাজিয়ে দেখতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। ওই সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক হয় সৌম্যর, আর অভিষেক ম্যাচেই ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ রান করেছিলেন। তার মধ্যে চোখ ধাঁধানো এক প্যারিস্কোপের মার ছিল। ব্যাস, সৌম্যকে মনে ধরে যায় তৎকালিন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্ত্তজার। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়ে যান একটা মাত্র ওয়ানডে খেলেই।
তারপর নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভয়ডরহীন ক্রিকেটে মুগ্ধ করেছিলেন তরুণ সৌম্য। বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফর্ম করে বড় তারকা বনে যান বাঁহাতি তরুণ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার মধুচন্দ্রিমা শেষ হতে বেশি সময় লাগেনি।
দীর্ঘ দিন রানক্ষরায় ভুগছিলেন। যাতে দল থেকে বাদ পড়তেও হয়েছে বাহুবার। দলে থাকলেও পছন্দের ওপেনিং পজিশনে ব্যটিং করার সুযোগ হয়নি। ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করে বেড়ে উঠলেও জাতীয় দলে অনেক সময় তিনে, পাঁচে, ছয়ে কিংবা সাত নম্বর পজিশনেও ব্যাটিং করতে হয়েছে তাকে। যে কারও জন্যই বিষয়টি কষ্টের। নিঃসন্দেহে সৌম্যর জন্যও। তরুণ ক্রিকেটার জানালেন, দলের স্বার্থে এসব মেনে নেন তিনি। তামিমের লাইভ আড্ডায় যোগ দিয়ে এসবই জানালেন সৌম্য সরকার।
সৌম্য বলেন, ‘দলের স্বার্থে আমি আসলে মেনে নিই। যতদিন খেলেছি আমি চেষ্টা করেছি যেই পজিশনেই খেলি না কেন একটা রান করলেও দলের যেন সেটা কাজে লাগে। দলের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এসব নিয়ে ভাবি না আসলে। আমি ভাবি না যে সাত নম্বরে গেলে কী হবে, আমার জায়গা হারায়ে ফেলব কিনা। আমি মনে করি সাতে নেমে রান করলেও আমার ওপেনিংয়ে ফেরার সুযোগ থাকবে।’