নিজের সামর্থ্যের ওপর কোহলির বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই
১৯ মে ২০২০ ০৪:৪৯
তামিমের লাইভ আড্ডায় উপস্থিত বিরাট কোহলি, আর সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানের কাছে তাই তামিমের প্রশ্নের ঝুড়িও হাজির। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ইতোমধ্যেই ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের তকমা দেওয়া হয়েছে। আর নিজের আত্মবিশ্বাসেই যে বিরাট এই অবস্থানে তা জানান দিলেই আরও একবার। কোহলি খেলার মাঠে ম্যাচের পরিস্থিতিতে যেমনই হোক না কেন নিজের সামর্থ্য নিয়ে সংশয়ে থাকেন না কখনোই।
ভারতীয় অধিনায়কের কাছে তামিমের প্রশ্ন, ‘কখনো কি নিজের সামর্থ্যের উপর সন্দেহ হয়?’
ওয়ানডে’র এক নম্বর ব্যাটসম্যানের কাছে প্রশ্নটা অবান্তই মনে হলো অনেকটা। যদিও মুখে প্রকাশ করেননি বিরাট। তবে কথাতে বুঝিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি কখনো নিজের সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান নন। কোহলি বলেন, ‘সবারই নিজেকে নিয়ে সংশয় হয়। সফরে গিয়ে এমন হয়, যে হচ্ছে না। ওই ছন্দটা আসছে না। সংশয় ঘিরে ধরছে। হয়তো আপনি যথেষ্ট ভালো না এক্ষেত্রে। মনের মধ্যে এই ব্যাপারটা চলতেই থাকে। এখানে সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ওই জায়গার মধ্যে থাকা, যেখানে মনে হবে যে না, এসব আসলে সত্য নয়। এসব শুধু এমন চিন্তা যেগুলো আমাকে আটকে রাখতে চাচ্ছে। যদি আমি বিশ্বাস করি যে আমি পারব, তাহলে পারব।’
ঘুরে ফিরে কোহলির কথা সারমর্ম দাঁড়ায়, ‘ম্যাচের মধ্যে নিজের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ করি না।’
নিজের ওপর আস্থা রেখে চেষ্টা চালিয়েই আজ বিরাট কোহলি বিশ্ব সেরা ব্যাটসম্যান। যেখানে নিজের উপর তার নেই বিন্দুমাত্র সন্দেহ। আত্মবিশ্বাস আর কঠোর পরিশ্রমই কোহলির মূলচালিকা শক্তি। তামিমকে জানালেনও সেটাই। তিনি বলেন, ‘ম্যাচের ভালো দিক হলো এসব ভাবার মতো সময় থাকে না। পরিস্থিতি দেখতে হবে, সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে, ব্যাটিং করতে হবে। দলের কী অবস্থা, দলের জন্য আমাকে কী করতে হবে। নিজের এনার্জিই নিজেকে ব্যস্ত রাখে তখন। এসব নেতিবাচক ব্যাপার তখনই আসে, যখন আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুডে থাকি না।’
কোহলি আরও যোগ করেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো, নিজেকে এটা বলা যে, ‘আই অ্যাম গুড এনাফ’। নেটে গিয়ে আরও কঠোর পরিশ্রম করব, যতক্ষণ না ওই ছন্দটা খুঁজে পাচ্ছি। তখন দেখবেন কী মনে হয় একদিন পরই- ‘আমি কী ভাবছিলাম! এত নেতিবাচক কেন হচ্ছিলাম!’ আমাদের কাজই হচ্ছে ইতিবাচক থাকা।’
আর এমন ইতিবাচক কোহলি বিশ্বজয় করেছেন। আর রান তাড়া করতে নামা কোহলি যেন হিংস্র হয়ে উঠে বলে নিজের ওপর সন্দেহ করার সময় কোথায়?