বাংলাদেশের মাছের ঝোলের স্বাদ আজও ভুলেননি ওয়াসিম
২০ মে ২০২০ ০১:০৪
সময়টা ৯০’র দশকের শুরুর কথা। ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে শিরোপা জিতিয়ে রীতিমত উড়ছেন সুলতান অব সুইং ওয়াসিম আকরাম। সুপারস্টারের সুবাস তার গায়ে ম ম করছে। এর ঠিক বছর তিনেক পর বাংলাদেশে এসেছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে। ক্রিকেট খেলতে এসে এদেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ক্রিকেট সংস্কৃতি দেখে রীতিমত চমকে যান কিংবদন্তী। প্রেমে পড়ে যান এদেশের খাবারেরও। আজ থেকে প্রায় দুই যুগ আগে খাওয়া মাছের ঝোলের স্বাদ তিনি আজও ভুলতে পারেননি।
মঙ্গলবার (১৯ মে) তামিম ইকবালের ফেইসবুক পেজে লাইভ আড্ডায় আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও খালেদ মাসুদ পাইলট অতিথি হয়ে এসেছিলেন। আর সেই সঙ্গে সারপ্রাইজ প্যাকেজ ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। সেখানেই তিনি একথা জানান।
‘বাংলাদেশ আমার খুব কাছের। আমি দেশটা দেখতে চেয়েছিলাম। এই দেশের মানুষ, খাবারের প্রতি আকর্ষণ ছিল। আমি বাংলাদেশের মাছের ঝোল অনেক মিস করি।’
মূলত ওই মৌসুমে আবাহনীর সংগঠক আ হ ম মোস্তাফা কামালের জোরাজুরিতেই ক্লাবটির হয়ে খেলতে রাজী হয়ে যান ওয়াসিম। খেলেন দুটি ম্যাচ। একটি ব্রাদার্সের বিপক্ষে। আর অপরটি মোহামেডানের কিপক্ষে। তবে খেলার পাশাপাশি বাংলাদেশকে জানাও তার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।
‘প্রথমত আমি দেখতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশের ক্রিকেট কতটা জনপ্রিয়। বিশ্বাস করবে কিনা, অর্থনীতিক লাভের ব্যাপারটা ছিল পরের বিষয়। আমার মনে আছে কামাল ভাই (বর্তমান অর্থমন্ত্রী মোস্তাফা কামাল) আমাকে হুট করেই আমন্ত্রণ করেন। উনি আমাকে চেপে ধরেন যে তোমাকে অবশ্যই মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীর হয়ে খেলতে আসতে হবে। পাকিস্তানে কিন্তু এরকম তুমুল উন্মাদনায় ভরপুর ফুটবল, ক্রিকেট, হকির ক্লাব ছিল না তোমাদের দেশের মতো।’