Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘২০১১ বিশ্বকাপ নিয়ে আফসোস থাকলেও দোষারোপ করিনা কাউকে’


২৪ মে ২০২০ ০১:৩৭

সময়টা ২০১১, জানুয়ারি মাসেই স্বাগতিক দেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়। টাইগারদের ১৫ সদস্যের দল থেকে সবারই চক্ষু চড়ক গাছ। মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা ১৫ সদস্যের দলে নেই। তখন সদস্যই ইনজুরি থেকে সেরে উঠছিলেন তিনি, হাতে অবশ্য সময়ও ছিল পুরোপুরি ফিট হওয়ার। কিন্তু সুযোগ হয়নি নিজ দেশের বিশ্বকাপ খেলার। তবে সেই বিশ্বকাপ নিয়ে মাশরাফি’র আফসোস থাকলেও কাউকে দোষারোপ করেন না তিনি।

শনিবার (২৩ মে) তামিম ইকবালের লাইভ শো’র শেষ এপিসোডে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের চার নক্ষত্র মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং তামিম ইকবাল। সেখানেই তামিম প্রশ্ন তুললেন মাশরাফির সামনে। তামিম বললেন, ‘এই ব্যাপারটা আপনার কাছে হয়ত অনেক আবেগের। বিষয়টা হচ্ছে ২০১১ বিশ্বকাপ আমাদের দেশেও হয়েছিল। আপনি বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন কিন্তু ২০১১ বিশ্বকাপে আপনি খেলতে পারেননি। আমরা টিভিতে দেখেছি আপনি অনেক আবেগিও হয়ে গিয়েছিলেন। তো আপনি যদি এই বিষয়টা নিয়ে কিছু বলতেন। যে দেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে আপনি খেলতে পারছেন না ওই সময়টার কথা।’

বিজ্ঞাপন

জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপে খেলা। আর আমি যখন দেখলাম বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড কাপ হচ্ছে, তো তখন থেকেই আমার একটাই স্বপ্ন ছিল যে বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলবো। ঢাকা লিগে বিকেএসপিতে খেলতে গিয়ে আমার লিগামেন্টে আবারও ইনজুরি হয়, তখন কিন্তু লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়নি। একবারের জন্যও তখন ভাবিনি যে আমি বাদ পড়ব।’

মাশরাফি আরও বলেন, ‘ইনজুরির পরে যখন চিকিৎসার জন্য শ্রীলংকায় গেলাম, তখন ডাক্তার আমাকে বলল “তুমি খেলতে পারবে কিন্তু একটাই ভয় থাকবে যে খেলতে গিয়ে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যেতে পারে। তুমি যদি এটা নিয়ে খেলতে পারো তাহলে কোনো সমস্যা নেই।” তখন আমিও ডাক্তারের সঙ্গে একমত হয়েছিলাম। কিন্তু এরপরেও আমি সুযোগ পাইনি।’

বিজ্ঞাপন

এই কথার সঙ্গে মাশরাফি আরও যোগ করে বলেন এই ব্যাপারে তার আফসোস আছে কিন্তু কাউকে দোষারোপ করেন না। এরপর মাশরাফি বলেন, ‘আসলে আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না, কখনো দেইনি আর দেবও না। তবে খারাপ লাগাটা আছেই, আফসোসও আছে। আসলে ওই সময় আমার উচিৎ হয়নি আবেগি হওয়ার কিন্তু নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি।’

মাশরাফি আফসোসের কথা জানিয়ে বলেন, ‘শ্রীলংকার চিকিৎসক ডেভিডিয়ান আমার রিপোর্টটা পাঠিয়েছিল তখন আমাদের ফিজিও ছিল মাইকেল হেনলি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওর কাছে মেইলটা পুরোটা আসেনি। তো মেইলে অনেক সময় রিডমোর লেখাটা আসে ওখানে ক্লিক করলে বাকি মেইলটা পড়া যায়। হেনলি রিডমোরটা ক্লিক না করে উপরের অংশটুকু পড়েই জমা দিয়েছিলেন নির্বাচকদের কাছে। এরপর হেনলিকে জিজ্ঞাসা করি এবং পরে পুরো মেইলটা ওকে দেখানোর পর হেনলি আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে।’

তবে বিশ্বকাপে অংশ না নেওয়াটা যে তার সাপে বর হয়েছে সেটাও জানিয়েছেন টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় আমার স্ত্রীর গর্ভাবস্থায় খুব শরীর খারাপ ছিল। ডাক্তাররা ক্লিনিক্যালি ডেড বলে দিয়েছিল। তো তখন আমি ছিলাম বলেই তাকে হাসপাতালে নিতে পেরেছিলাম। আর আল্লাহর কাছে শুক্রিয়া যে সে বেঁচে গেছে।’

২০১১ বিশ্বকাপ তামিমের লাইভ শো মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর