ঘরে বসে ভিডিও কলে স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে সমর্থকরা
২৪ মে ২০২০ ১৫:৪১
ইউরোপ জুড়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে গড়াতে শুরু করেছে ফুটবল লিগগুলো। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত মেনেই খেলা শুরু করতে হয়েছে লিগ এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষকে। আর অনির্দিষ্টকালের জন্য ফুটবল স্টেডিয়ামগুলোতে দর্শকদের উপস্থিতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপিয়ান দেশগুলো। তবে তাতেও কি থামানো যায় সমর্থকদের?
নানান ফন্দি এটে নিজ নিজ ক্লাবকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে সমর্থকেরা। কেউ নিজেদের চেহারার প্ল্যাকার্ড বানিয়ে ক্লাবকে পাঠিয়েছে যেন স্টেডিয়ামের সিটের দিকে তাকালে খেলোয়াড়রা সমর্থকদের চেহারা দেখতে পারে। কোনো ক্লাব আবার এক ধাপ এগিয়ে পুতুলের ব্যবস্থা করেছে স্টেডিয়ামে আর সেই সঙ্গে কৃত্রিম সমর্থকদের শব্দ। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে গেলেন ডেনমার্কের সুপারলিগের ক্লাব এজিএফ আর্হাস।
তাদের সমর্থকরা কোনো প্ল্যাকার্ড বা পুতুল স্টেডিয়ামের সিটে রাখার ব্যবস্থা করেনি। তারা ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ভিডিও কনফারেন্সে স্টেডিয়ামে লাগানো জায়ান্ট স্কিনে যুক্ত থাকবেন। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১০ হাজার সমর্থক স্টেডিয়ামের স্ক্রিনে যুক্ত থাকতে পারবেন। আগামি বৃহস্পতিবার (২৮ মে) মাঠে গড়াচ্ছি ড্যানিশ সুপারলিগ।
এই প্রোজেক্টের কো-অর্ডিনেটর সরেন কার্লসন জানিয়েছেন, ‘খেলোয়াড়দের সমর্থন দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা সবকিছু শুনতে পারবে, দেখতে পারবে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে।’
স্টেডিয়ামের চারপাশে ৪০ মিটার X ২.৮ মিটার স্ক্রিন লাগানো হবে। একটি স্ক্রিনে ২০০জন সমর্থকের ভিডিও দেখানো হবে। আর পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে মোট ২২টি এমন জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হবে।
কার্লসন আরও জানান, ‘এটি মাঠের ক্যামেরাগুলোর ঠিক বিপরীত পাশে লাগানো হবে যাতে করে টেলিভিশন ক্যামেরাও সমর্থকদের দেখাতে পারে। অনেক সময় গোল করার পর খেলোয়াড়রা সমর্থকদের সঙ্গে সেই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন, এবার খেলোয়াড়রা যেন সমর্থকদের বাড়িতেই পৌঁছে যাবেন। এই ব্যাপারে আমরা আমাদের সমর্থকদের কাছ থেকে আশাবাদি বক্তব্য পেয়েছি কেবল।’
এজিএফ প্রথম এবং একমাত্র ক্লাব যারা বন্ধ স্টেডিয়ামেও সমর্থকদের একটি আটমোস্ফেয়ার তৈরি করছে।