Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন আশিক, বিসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ


৩০ মে ২০২০ ১৪:১১

আশিকের প্রবল মানসিক শক্তির কাছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসও হার মানল! ভুল পড়ছেন না মোটেই বরং নিরেট সত্যি। ২০ দিন অদৃশ্য এই ঘাতক শত্রুর সঙ্গে প্রাণপণ লড়াই শেষে শুক্রবার (২৯ মে) জয়ীর বেশে হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফিরেছেন লাল সবুজের সাবেক যুবা পেসার ও নারী ক্রিকেট দলের সাবেক সহকারী কোচ আশিকুর রহমান মজুমদার। এই মুহুর্তে তার জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোন শারিরীক কোন জটিলতা নেই। তবে কাশিটা অল্প রয়ে গেছে। ডাক্তার বলে দিয়েছেন দিন কয়েক পরে এটাও আর থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

আশিকের মানসিক শক্তি তো ছিলই, পাশাপাশি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সার্বক্ষণিক তদারকি। যা স্বল্পসময়েই তার করোনাজয়ের পথ সুগম করেছে। বিসিবি সিইও নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন প্রতিনিয়ত তার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। হাসপাতালে কখন কী প্রয়োজন জেনে সহকারী আমিরকে দিয়ে তার বন্দোবস্ত করেছেন। কম যাননি কোয়াব সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়, সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালও। আশিককে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে যা যা করণীয় তারা করেছেন। সেকারণেই বিসিবি ও কোয়াবের প্রতি তার অশেষ কৃতজ্ঞা।

বিজ্ঞাপন

তবে একটি জায়গায় কিঞ্চিত জটিলতা রয়ে গেছে। সেটা হলো, করোনা পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে চিকিৎসক আশিককে এমআরআই করতে বলেছেন। কিন্তু সেটি কোথায় করবেন সেটা নিয়ে বিস্তর ভাবনায় পড়ে গেছেন। কেন না করোনাকালে কোন হাসপাতালের এমআরআই যন্ত্রই নিরাপদ নয়।

শনিবার (৩০ মে) সারাবাংলার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে এ কথাগুলোই জানালেন বাংলাদেশ অনু-১৯ দলের সাবেক নন্দিত এই পেসার।

ভুলে যাননি বন্ধু ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মাদ আশরাফুলের অবদানও। করোনা ভয়কে তুচ্ছজ্ঞান করে তাকে দেখতে প্রতিদিনই হাসাপাতালে ছুটে এসেছেন অ্যাশ। তাই তার প্রতিও জানালেন অশেষ কৃতজ্ঞতা।

‘আশরফুল তো আমার কথা ভাবতে ভাবতে পাজলড হয়ে গিয়েছিল। প্রতিদিনই হাসপাতালে আসত। তাই ওর প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।’

করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ভয়াবহতা খুব কাছ থেকেই দেখার সুযোগ হয়েছে আশিকের। তাই কায়মনবাক্যেই তিনি চান না দেশের আর একজন নাগরিকও এর দ্বারা সংক্রমিত হোক। ফলে যারা সুস্থ আছেন তাদের জন্য দিয়ে রাখলেন পরামর্শ।

‘যারা সুস্থ আছেন তারাও প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন বিশেষ করে খাবারটা। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে যেন সবাই খালি পেটে মধু, গরম পানি ও লেবু খায়। সকাল ১০টা ১১টার দিকে লং, আদা, দারুচিনি মিশ্রিত করে চা যেভাবে খাই সেভাবে যেন খায়। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কাজু বাদাম, ডিম, চিকেনও রাখতে হবে। কেননা শরীরে প্রোটিনের উপস্থিতি থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই বেড়ে যায়।’

প্রসঙ্গত, ৮ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২ মে রাজধানীর ‍মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক যুবা পেসার ও নারী ক্রিকেট দলের সবেক সহকারি কোচ আশিকুর রহমান মজুমদার। ২০০২ সালে বাংরাদেশ অনু-১৯ দলের হয়ে যুবা বিশ্বকাপে অংশি নিয়েছিলেন আশিক। তবে দীর্ঘদেহী এই পেসার ক্যারিয়ারটা লম্বা করতে পারেননি পিঠের ব্যথার কারণে। ফলে খেলা ছেড়ে অল্প বয়েসেই কোচিং পেশাকে বেছে নিতে হয়েছে। সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। আর ক্লাব ক্রিকেটে কাজ করেছেন প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেটার্সের সহকরী কোচ হিসেবে।

আশিকুর রহমান মজুমদার কোভিড-১৯ টপ নিউজ নভেল করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর