রোনালদোকে কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন মোরিনহো
৬ জুন ২০২০ ১২:৪৬
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নাম শুনলেই শক্ত মাংসপেশিওয়ালা ফুটবল কিংবদন্তীর ছবি ভেসে ওঠে। যার পাহাড়সম দৃঢ় মানসিকতার জন্যও তিনি বেশ সুপরিচিত। ক্যারিয়ারের সুবর্ণ সময় কাটিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। এক সময় স্বদেশী আরেক কিংবদন্তী হোসে মোরিনহোর অধিনেও খেলেছেন তিনি। সে সময় এক ম্যাচের মধ্য বিরতিতে মোরিনহোর ধমকে কান্নায় করে দিয়েছিলেন রোনালদো। এমন কথা নিজের জীবনগ্রন্থে জানিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ
২০১০ সালে সদ্যই ইন্টার মিলানকে চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ট্রেবল জিতিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ডাগ আউটের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোরিনহো। সে সময় নিজের ফর্মের চূড়ায় মোরিনহো। অন্যদিকে টিকিটাকা দিয়ে বিশ্ব জয় করছে পেপ গার্দিওলা ও বার্সেলোনা। এমন সময়ে রিয়ালের দায়িত্ব গ্রহণ করেই ২০১১/২০১২ মৌসুমে রেকর্ড গড়ে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগা জয় করে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।
ওই মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অবশ্য কেবল রোনালদো একাই নয় তার সঙ্গের সতীর্থরাও মুড়িমুড়কির মতো গোল করছিলেন। মৌসুম জুড়ে মোট ১২১টি গোল করেছিল রোনালদোরা। অবশ্য ২০১৩ সালে ইকার ক্যাসিয়াস, সার্জিও রামোসদের মতো মহাতারকাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে রিয়াল ছেড়েছিলেন মোরিনহো। তবে চলে যাওয়ার আগে স্মরণীয় অনেক মূহুর্ত দিয়ে গেছেন গ্যালাক্টিকো সমর্থক এবং খেলোয়াড়দের।
সম্প্রতি লুকা মদ্রিচ তার জীবনগ্রন্থে মোরিনহোর সময়কার একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন। মদ্রিচ লিখেছেন, ‘আমরা প্রথমার্ধে ২-০ গোলের ব্যবধানে কোপা দেল রে জিততেছিলাম। কিন্তু আমি মোরিনহোর ব্যবহার দেখে আমি চমকে গিয়েছিলাম। একবার আমরা বল হারিয়ে ফেললে রোনালদো নিজের পজিশন ছেড়ে নিচে নেমে ওই খেলোয়াড়কে চাপ না দেওয়াতে মোরিনহো ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন রনালদোর ওপর।’
মদ্রিচ আরও বলেন, ‘রোনালদো এবং মোরিনহো মাঠের মধ্যেই তর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেখানেই শেষ হয়নি এই দুইয়ের তর্ক। তাদের দুইজনের তর্ক গড়ায় হাফ টাইমের বিরতিতে ড্রেসিংরুম পর্যন্ত। সে সময় আমি দেখলাম রোনালদো অনেক বিচলিত এবং তার চোখে পানি। সে সময় রোনালদো বলেছিল সে চেষ্টা করেছে তার সাধ্যমত। আর মোরিনহো ড্রেসিংরুমে এসেও রোনালদোকে কটূক্তি করেই চলেছিল।’
দুজনের তর্ক যেন থামছিলই না। এক পর্যায়ে দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের এগিয়ে এসে দুইজনকে থামাতে হয়েছিল বলেও লিখেছেন মদ্রিচ।
ক্যারিয়ার জুড়ে মোরিনহো তার খেলোয়াড়দের ব্যাপারে অনেক বেশিই চড়া। দলের সকল খেলোয়াড়কে যেমন আক্রমণে অংশ নিতে হবে তেমন রক্ষণেও সাহায্য করতে হবে। এমনটাই মোরিনহোর মন্ত্র। তবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো মহাতারকার ক্ষেত্রেও যে মোরিনহো এক চুল ছাড় দিতে নারাজ ছিলেন মদ্রিচের জীবনীতে যেন সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হলো।