ওয়াসিমের চোখে শচীন পঞ্চম
৭ জুন ২০২০ ১৬:৫০
নিজের সেরা সময়ে সুইং, বাউন্সার, ইয়র্কারে ওয়াসিম আকরাম কতো ব্যাটসম্যানের রাতের ঘুম কেড়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। একটা সময় বল হাতে ক্রিকেটবিশ্ব শাসন করেছেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি। ‘সুলতান অব সুইং’ বলা হয় তাকে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ক্রিকেট ইতিহাসের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের মুখোমুখি হয়েছেন ওয়াসিম। তাদের মধ্যে সেরা কে? সম্প্রতি এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে তালিকার পঞ্চম স্থানে রেখেছেন ওয়াসিম।
অবশ্য নিজেদের সেরা সময়ে শচীন-ওয়াসিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি মুখোমুখি হননি। পাকিস্তানি কিংবদন্তি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ‘সুপারস্টার’ তখন ১৬ বছর বয়সে অভিষেক শচীনের। শচীন পরিণত হতে হতে বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় ওয়াসিমের। কিংবদন্তি পেসার বলেছেন, সেই কারণে শচীনকে বিচার করা তার পক্ষে কঠিন।
ওয়াসিম সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ বলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডসকে, ‘যদি নজিরবিহীন টেকনিক, কারিশমা এবং খেলায় দুর্দান্ত প্রভাব ফেলেন এমন কোনো ব্যাটসম্যানের কথা বলতে হয়, তবে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের কথাই আমি বলব। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশক হয়ে ২০০০ সালের পরও সমস্ত গ্রেট ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে আমি খেলেছি। তবে ভিভ রিচার্ডস ছিলেন সবার ঊর্ধ্বে।’
নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা মার্টিন ক্রোকে রেখেছেন তালিকার দুই নম্বরে, ‘নিখুঁত কৌশলের কারণে মার্টিন ক্রোকে আমি দ্বিতীয় স্থানে রাখব। যখন রিভার্স সুইংয়ের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে কোনো ধারণা ছিল না গোটা বিশ্বের, তিনি তখন আমাদের বিপক্ষে সাবলীলভাবে খেলতেন। একবার একটা টেস্ট সিরিজে ওয়াকার (ইউনুস) তিন ম্যাচে ৩০ উইকেট পেয়েছিলেন আর আমি চোট পাওয়ার আগে দেড় ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছিলাম। সেই সিরিজেও ক্রো দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন।’
আরেক ক্যারিবিয়ান ব্রায়ান লারা ওয়াসিমের তালিকার তিন নম্বরে, ‘তিন নম্বরে আমি “ক্যারিবিয়ান রাজপুত্র” ব্রায়ান লারাকে রাখব। তিনি একজন মানসম্পন্ন ব্যাটসম্যান ছিলেন। তার বিপক্ষে বোলিং করাটা ছিল আলাদা এবং অদ্ভুত রকমের অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন দিক থেকে তিনি ব্যাট চালাতেন। তিনি কখনোই স্থির থাকতেন না।’
পাকিস্তানের ইনজামাম-উল হককে চার নম্বরে ও শচীনকে পাঁচ নম্বরে রেখেছেন ওয়াসিম। শচীনকে পাঁচে রাখার পক্ষে তার ব্যাখ্যা, ‘আমি টেন্ডুলকারকে আলাদা করে রাখছি। কারণ, আমরা তার বিপক্ষে দশ বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলিনি। ওয়াকার ও আমি টেস্ট ম্যাচে দশ বছর তার বিপক্ষে বোলিং করিনি। ১৯৮৯ সালে তিনি ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানে এসেছিলেন। এরপর আমরা ১৯৯৯ সালে তার বিপক্ষে খেলেছি।’
ওয়াসিম বলেন, ‘মাঝে আমি ওয়ানডেতে শারজায় তার বিপক্ষে বোলিং করেছিলাম। তবে টেস্ট ক্রিকেট আলাদা বিষয়। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তিনি সেরা খেলোয়াড়দের একজন। কিন্তু যেহেতু একজন বোলার হিসেবে আমি নিজের সেরা সময়টাতে তার বিপক্ষে বোলিং করিনি, সেকারণে তাকে বিচার করা আমার পক্ষে কঠিন।’
ওয়াসিম আকরাম পাঁচজন সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার সেরা ব্যাটসম্যান