Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এশিয়া কাপের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি


৯ জুন ২০২০ ০০:১০

বিশ্বব্যাপী করোনাভাাইরাস সংক্রমন ছড়নোর পরপরই একে একে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের ক্রিকেট। ঘরোয়া ক্রিকেট যেমন নেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও তেমনি নির্বাসনে। বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক। ১৫ মার্চ মাঠে গড়ানোর এক রাউন্ড পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট। এরপর একে একে পাকিস্তান সফর, আয়ারল্যান্ড সফর ও বহুকাঙ্ক্ষিত অস্ট্রেলিয়া সফরও স্থগিত হয়ে গেল।

জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজ হওয়ার কথা থাকলেও দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় তা এখনো সুদূরপরাহত। তবে না বলেনি লাল সবুজের ক্রিকেটর সর্বোচ্চ সংস্থা বিসিবি। বরং এখনো লঙ্কান বোর্ডেরর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। করোনার বৈশ্বিক পরিস্থিতে শঙ্কা তৈরি হয়েছে সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানো নিয়েও। অনেকে আবার এর সঙ্গে সঙ্গে অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও এপিটাফ লিখে ফেলেছেন! তবে  সোমবারের এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) সভায় যে আলোচনা হয়েছে. তাতে এশিয়া কাপ ২০২০ নিয়ে আশা করাই যায়।

বিজ্ঞাপন

বিসিবি ও এসিসি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সোমবারের (৮ জুন) এই সভায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপের সম্ভাব্য ভেন্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এটিই ছিল সভার মূল এজেন্ডা ও টক অব দ্য টেবিল। কিন্তু টুর্নামেন্ট কবে কোথায় হবে, তা নিয়ে তারা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শোনাতে পারেননি। তবে নির্ধারতি সময়ে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হবে।

তার মানে বিষয়টি পরিষ্কার, টুর্নামেন্টটি নিয়ে এখনো ইতিবাচকই এসিসি। সোমবার (৮ জুন) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞাপন

এসিসি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে প্রথম নির্বাহী কমিটির বৈঠক বৈঠক শেষে নতুন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘এশিয়া কাপের আগামী আসর বসবে ২০২০ সালে, পাকিস্তানে। ২০২০ সালের টি২০ বিশ্বকাপের জন্যই আগামী এশিয়া কাপ হবে টি২০ ফরম্যাটে।’

তবে ঘাপলাটা বেঁধে যায় অন্য জায়গায়। পাপনের ওই ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ২০২০ এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হলে ভারত খেলতে যাবে না। এ অবস্থায় এশিয়ার ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছিলেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন। আর এর প্রধান কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন পাকিস্তানের নিরাপত্তাহীনতাকে।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সারাবাংলার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে এশিয়া কাপ নিয়ে নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেছিলেন, “০২০ এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। ‘হোস্ট রাইট’ পাওয়ায় তারাই এশিয়া কাপের আয়োজন করবে। কিন্তু কোথায় করবে— পাকিস্তান, দুবাই নাকি বাংলাদেশে— এটা তাদের ব্যাপার। এটা পরবর্তী সিদ্ধান্ত এবং এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি।’ ওই সময়ই তিনি ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন, পাকিস্তান আয়োজক হলেও টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এর আগে, এশিয়া কাপের সবশেষ আসরের আয়োজক ছিল ভারত, যার পর্দা উঠেছিল ওই বছরেরই সেপ্টেম্বরে। কিন্তু আয়োজক হওয়া সত্ত্বেও ভারতের মাটিতে এশিয়া কাপ গড়াতে দেখা যায়নি। কারণ একটিই— এশিয়ার ক্রিকেটের আরেক শক্তিশালী পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতীক টানাপোড়েন। ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এশিয়ার ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই।

এশিয়া কাপ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এসিসি এসিসি সভা টপ নিউজ নাজমুল হাসান পাপন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

বাড়তে পারে তাপমাত্রা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৪

গুলশানে দুইজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫

সম্পর্কিত খবর