সতীর্থের কারণে ধর্ষণের অভিযোগে ফেঁসেছিলেন শোয়েব
৯ জুন ২০২০ ১৫:০৩
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যেমন দেখেছেন সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়া, ঠিক তেমনই বিতর্কের সৃষ্টিও হয়েছে তাকে ঘিরে। ক্যারিয়ার জুড়ে দুর্দান্ত গতিতে ব্যাটসম্যানদের মনে ভয় ধরিয়েছেন শোয়েব আখতার আর সেই সঙ্গে বেপরোয়া জীবন যাপনেও হয়েছেন প্রশ্নবিদ্ধ। প্রায় ১৫ বছর আগে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল একটি সংবাদ, এরপর অস্ট্রেলিয়া থেকে তাকে দেশেও ফেরত পাঠিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
সে সময় শোয়েবকে নারী ঘটির কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর দায় চাপানো হয়েছিল। তবে এত বছর পর শোয়েব জানালেন, এক সতীর্থের কারণে ধর্ষণের দায় চেপেছিল তার ওপর। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরে বক্সিং ডে টেস্টের আগের ঘটনা সেটি। একটি অনলাইনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সেই সময়টার কথা স্মরণ করলেন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস।
শোয়েব বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া থেকে আমাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। আমাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল সে সময়। আমাকে অভিযুক্ত করা হলেও আসলে আমি ছিলাম না। সে সময় পাকিস্তান দলের আরেকজন ছিল, যার সঙ্গে একটি মেয়ের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট সেই ছেলেটির ঘটনা আড়াল করেছিল।’
রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস আরও যোগ করেন, ‘বোর্ড যখন ছেলেটির ঘটনা আড়াল করে তখন আমি তখন বোর্ডকে বলেছিলাম। তারপরেও বোর্ড ছেলেটির নাম প্রকাশ করেনি। স্রেফ বলেছিল যে শোয়েব সেখানে ছিল না। সেই সময় সারা বিশ্বের মানুষ আমাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছিল।’
শোয়েব আখতার যে ওই সময় নির্দোষ ছিলেন তা দেশটির বোর্ড কর্মকর্তারা জানতেন। আর তা নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিল পিসিবি। তবে সত্যিকারের ঘটনাটি তুলে ধরেননি মানুষের সামনে। পিসিবি সে সময় জানিয়েছিল, ঘটনার সঙ্গে শোয়েবের সম্পৃক্ততা নেই এবং ভারত সফরের আগে ফিটনেস নিয়ে কাজ করতেই শোয়েবকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। সে সময় শোয়েব হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগছিলেন।
পরবর্তীতে গুঞ্জন তোলা সেই নারী আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। আর তাই তো শেষ পর্যন্ত পিসিবি অফিসিয়ালি আর ওই ঘটনার কোনো তদন্ত করেনি।
ধর্ষণের অভিযোগ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড শোয়েব আখতার সতীর্থের সঙ্গে ভুলবোঝাবুঝি