আপদকালীন দেশি কোচই ভরসা
১১ জুন ২০২০ ১৩:৩৪
করোনাভাইরাস এদেশে সংক্রমণ ছড়ানোর শুরু থেকেই স্ব স্ব দেশে ফিরে গেছেন জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ ও ফিজিক্যাল ট্রেনিং বিভাগের স্টাফরা। কিন্তু দেশের করোনা সংক্রমণ ও মৃতের হার যেভাবে বাড়ছে তাতে কবে নাগাদ তারা ফিরবেন সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এদিকে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের অনুশীলন ফেরাতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণপূর্বক স্বাস্থবিধি মেনে ১৫ জুন থেকে অনুশীলন ফিরতে পারে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। এমতাবস্থায় দেশি কোচিং স্টাফ ও ফিজিওদের উপরেই নির্ভর করছে লাল সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রশাসন। যেহেতু বিদেশী কোচিং স্টাফদের পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আপাদকালীন দেশি কোচিং স্টাফদের ওপরেই তাদের ভরসা করতে হচ্ছে।
বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে অবহিত করেছেন বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চোধুরী।
‘আমরা ট্রেনিং শুরুর পরিকল্পনা করছি। কিন্তু তা করতে নানান বাধা আছে। বিশেষ করে বিদেশি কোনো কোচিং স্টাফ পাবো না। তাই দেশীয় যারা আছেন তাদেরই দায়িত্ব দিতে হবে। বিদেশি কোচরা কবে আসবে তার ঠিক নেই। এর মধ্যে যদি আমাদের ক্যাম্প শুরু করতে হয় সেখানে স্কিল ট্রেনিংয়ের জন্য কোচও প্রয়োজন হবে। যদি বিদেশিরা চলে আসেন তো ভালো তারাই দায়িত্ব নিবেন। আর না আসলে দেশিরা করবেন সেটাই বলা যায়।’
প্রায় তিন মাস হতে চলল মাঠে খেলা নেই। খেলা দূরে থাক করোনাভাইরাস নামক মহামারির প্রকোপে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ঘর থেকেই বেরুতে পারছেন না। তাছাড়া দিনকে দিন দেশের করোনা পরিস্থিতি যে প্রকট আকার ধারণ করছে তাতে কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন সেটা নিয়েও শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কেননা দেশের করোনা পরিস্থিতির সিকিভাগ উন্নতিও নেই। এদিকে টানা লক ডাউনে ঘরে বসে থাকতে থাকতে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থাও যাচ্ছেতাই রকমের হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেউ কেউ বাসায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করলেও অনেকের আবার সেই সুযোগটিও নেই। তাছাড়া বাসার ফিটনেস আর আউটডোর ফিটনেস তো আর এক বিষয় নয়। সেই ভাবনা থেকেই গত সপ্তাহে মিরপুরে এসে অনুশীলনের জন্য বিসিবিকে অনুরোধ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সার্বিক নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে অনুমমিত দেওয়া হয়নি। শুধু মুশফিকই নন, আরো কয়েকজন ক্রিকেটার হোম অব ক্রিকেটে এসে অনুশীলনের আগ্রহ দেখিয়েছেন।
তাদের কথা মাথায় রেখেই করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও অনুশীলনে ফেরানোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। এবং এই মর্মে তারা আইসিসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী মেডিকেল বিভাগকে ট্রেনিং মডিউল তৈরির নির্দেশনাও দিয়েছেন। বিসিবি মেডিকেল বিভাগও তদানুযায়ী তিনটি মডিউল তৈরি করে রেখেছে। এখন শুধু নির্দেশনার অপেক্ষা। দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণপূর্বক বিসিবি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই তারা ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরাতে পারবেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই দেশের করোনা সংক্রমন যে উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে তাতে এই মুহুর্তে তাদের মাঠে এসে অনুশীলনে নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি।
করোনা পরিস্থিতি দেশি কোচ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ভরসা দেশি কোচের ওপর হতাশ হয়েছে বাংলাদেশ