স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
শূন্যতা তার পুরো বাড়িজুড়ে। তার বাবার শয্যার কক্ষটি এখনও খাঁ খাঁ করছে। শোকে এখনও কাতর তার মা। বাবা নেই। দেশের টাইগার রাজ্জাক খ্যাত আব্দুর রাজ্জাক সোনা মিয়া পৃথিবী ছেড়েছেন ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ। সেই থেকে শূন্যতা এখনও রাসেল মাহমুদ জিমির মনে।
বাংলাদেশের হকির জন্য সারাজীবন কখনও খেলোয়াড়, কখনও কোচ, কখনও সংগঠক, কখনও আম্পায়ার হয়ে কাজ করে গেছেন জিমির বাবা সোনা মিয়া। ছেলে এখন সেই দলটিরই অধিনায়ক। পুরো দল তার নেতৃত্বে। বাবা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করতে চান জিমি।
বাবার জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে চান দেশে। ওমানে এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্বে অংশ নেবে বাংলাদেশ হকি দল। বাবাকেই উৎসর্গ করতে চান ট্রফি। শোককে শক্তিতে পরিণত করে ট্রফি আনার স্বপ্ন জিমির, ‘বাসায় এখনও শোকের ছায়া। বাবা নেই, তারপরও খেলতে হবে। এবার বাবার জন্যই ট্রফি জিততে চাই। জিতেই তাকে ট্রফি উৎসর্গ করতে চাই।’
কথাগুলো বলতে বলতে চোখের কোণে পানি চিক চিক করছিল জিমির। তার পরেও কথা চালিয়ে গেলেন, ‘বাবা ছিল বড় অনুপ্রেরণা। তার কাছ থেকে অনেক পরামর্শ নিতাম। সবসময় আমার পাশে ছিল। মাঠে যাওয়ার আগে সালাম করে বের হতাম। খেলার সবকিছু তার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতাম। এখন কাকে সালাম করব?’
তবে ভেঙে পড়েননি জিমি। জানালেন লক্ষ্যের কথা, ‘আমাদের তরুণ-সিনিয়র মিলে দারুণ একটা দল হয়েছে। তিন ভাগেই ভারসাম্যপূর্ণ খেলোয়াড় আছে। প্রতিপক্ষ দলের ব্যাপারে জানি। চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরবো। মূলপর্বে যাবো।’
ওমানে বাছাইপর্ব থেকে পাঁচ দল যাবে মূলপর্বে ইন্দোনেশিয়ায়। তার আগে নিজেদের ঝালাইয়ের কাজটা মাসব্যাপী করেছেন জিমিরা। মাঝে বাবার মৃত্যুর খবর হকি পাড়ায় শূন্যতা বিরাজ করছিল। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি নিয়ে বাবার জন্য ইচ্ছাটাও পূরণ হবে জিমির।
সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি