Tuesday 03 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন প্রায় অসম্ভব’


১৮ জুন ২০২০ ১৭:৩০ | আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ১৭:৫১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এ বছর অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে এতদিন ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে এলেও এখন তাদের কথার সুর পাল্টে গেছে। ইদানীং অনিশ্চয়তার কথাই উঠে আসছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি এহসান মানিও মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চলতি বছর বিশ্বকাপ আয়োজন করা বলতে গেলে অসম্ভবের কাছাকাছি। করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে অস্ট্রেলিয়া সরকার এত বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেবে না বলে মনে করছেন পিসিবি প্রধান।

অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে করোনা পরিস্থিতি অবশ্য তুলনামূলকভাবে বেশ ভালো। দুইটি দেশই এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরছে অস্ট্রেলিয়ায়। জিম্বাবুয়েকে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে আতিথ্য দেবে অজিরা। তবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আর বিশ্বকাপ তো এক কথা নয়। বিশ্বকাপ মানেই ক্রিকেট খেলুড়ে সব দেশের জড়ো হওয়া, বহু মানুষের সমাগম। মানি মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে এত বড় সমাগম চাইবে না অস্ট্রেলিয়া সরকার।

বিজ্ঞাপন

পিসিবি প্রধান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তাদের সরকার। তারা খুবই সতর্ক। যদিও নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। যদি বিশ্বকাপ এই বছর পূর্ব নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করতে হয়, সেটা সম্পূর্ণ নিরাপদ পরিবেশে হতে হবে। যেমন— পাকিস্তান ইংল্যান্ডে যেভাবে খেলবে, সেভাবে। দলগুলো আসবে, একটা হোটেলে থাকবে। কোনো দর্শক থাকবে না, যা একদম অসম্ভবের কাছাকাছি। তাই আমার মনে হয় এই বছর কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব না।’

বিশ্বকাপ এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে— এমনটিও জানালেন মানি। পিসিবি প্রধান নিজেও মনে করেন, বিশ্বকাপ পেছানো উচিত। বলেন, ‘আমার মতে টুর্নামেন্ট এক বছর পিছিয়ে দেওয়া উচিত। ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে আইসিসি টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা। মাঝের খালি জায়গায়টা পূর্ণ হবে যদি এক বছর পিছিয়ে যায়। কথাবার্তা সেদিকেই এগোচ্ছে।’

বিশ্বকাপ কেন পিছিয়ে দেওয়া উচিত— এহসান মানি সেটা ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘এটা অনেক বড় ঝুঁকি। যদি এত বড় টুর্নামেন্টের মাঝে কোনো খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে চূড়ান্ত অস্থিরতা তৈরি হবে এবং এই ঝুঁকি আমাদের নেওয়া ঠিক না।’

আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী মাসে বিশ্বকাপ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়া