মাশরাফি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
২০ জুন ২০২০ ১৬:০৪
ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মাশরাফির পারিবারিক সূত্র শনিবার (২০ জুন) সারাবাংলাকে খবরটি নিশ্চিত করেছে।
মাশরাফির ছোট ভাই মোরসালিন বিন মর্তুজা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন ভালো আছেন তিনি। তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। হালকা জ্বর আছে, তাছাড়া কোনো উপসর্গ নেই। ভাইয়া ঢাকার বাসাতেই আছেন’।
মোরসালিন বিন মর্তুজা জানান, গত তিন দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন মাশরাফি। শুক্রবার তার নমুনা পরীক্ষা করতে দিলে শনিবার ফল পাওয়া যায়। এতে দেখা যায় মাশরাফি বিন মর্তুজা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
এর তিন দিন আগে মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে সারাবাংলার এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তখন মাশরাফি বলেছিলেন, ‘আমার পরিবারের তিনজন করোনায় আক্রান্ত।’ এবার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাশরাফি নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই স্বাস্থকর্মী না হয়েও সম্মুখভাগের যোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তী মাশরাফি। শুরু থেকেই নড়াইলে ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে কৃষকদের হার্ভেস্টিং মেশিন কিনে দেওয়া ইত্যাদি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন মাশরাফি। করোনাভাইরাসে বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখযোদ্ধা সেই মাশরাফি এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ঠ স্থবির পরিস্থিতিতে নড়াইলে প্রায় ১০ হজার দুস্থ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন লাল সবুজের ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি। কখনো বা নিজেই তাদের জন্য খাবার হাতে ছুটে গিয়েছেন।
সদর হাসপাতালের প্রবেশ দ্বারেই নিজ উদ্যোগে স্থাপন করেছেন জীবাণুনাশক কক্ষ। চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে ওই হাসপাতালেই স্থাপন করেছেন, ‘ডক্টরস সেফটি চেম্বার।’ পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার যখন যা প্রয়োজন হচ্ছে সরবরাহ করতে ব্যাপক তৎপরতা নজর কেড়েছে সবার। সবশেষ জেলার কৃষকদের ধান কাটার কাজ সহজতর করতে কিনে দিয়েছেন চারটি হারভেস্টিং মেশিন।
এখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি। করোনার প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ঠ পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজের ১৬ বছরের প্রিয় ব্রেসলেট নিলামে তুলেছেন। নিলামে ৪২ লাখ টাকা দাম ওঠে প্রিয় সেই ব্রেসলেটের। সেই টাকার কিছু অংশ দিয়েই গেল ২ জুন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তালিকাভুক্ত ঢাকা মেট্টোর ক্রিকেট একাডেমির ৮২ জন কোচকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন।