Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হতে পারতাম’


২০ জুন ২০২০ ১৬:০৫

ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার প্রশ্নে বিশ্বকাপজয়ী কপিল দেব বা যুবরাজ সিংদের নামই উচ্চারিত হয়। তবে ইরফান পাঠান বলছেন তিনিই হতে পারতেন ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার। ইরফানের অভিযোগ পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার কারণে খুব বেশি সফলতা পাননি তিনি।

একটা সময় ভারতের পেস আক্রমণের সেরা অস্ত্রকে নিয়ে আক্ষেপ অবশ্য অনেকেরই। দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও নিয়মিত রান পেতেন ইরফান। কিন্তু লম্বা করতে পারেননি ক্যারিয়ার। মনে করা হয় বয়স ত্রিশ হলে সেরা অবস্থানে থাকেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু ইরফানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে যায় ২৮ বছরেই। তার আগে ২৯ টেস্ট, ১২০ ওয়ানডে ও ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলা বাঁহাতি ক্রিকেটার পরে আর থিতু হতে পারেননি জাতীয় দলে।

বিজ্ঞাপন

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া ইরফান বলেন, ‘সাফল্যের বিচারে হয়তো আরও অনেক বেশি থাকত (নামের পাশে)। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হতে পারতাম আমি। এটা হয়নি কারণ আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী অত ম্যাচ খেলতে পারিনি। যেহেতু মাত্র ২৭ বছরেই আমার ক্যারিয়ার থমকে গেছে। আমি দেখি ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসনের মতো বিশ্বের আরও অনেক বোলার ৩৫-৩৭ বছরেও খেলে যাচ্ছে। অবশ্যই ইংল্যান্ড আর আমাদের বিষয়টা ভিন্ন। আমি মনে করি, ৩৫ বছর পর্যন্ত খেলতে পারলে সব অন্যরকম হতো। তবে এখন সব শেষ, কিছুই বাকি নেই।’

ক্যারিয়ারের শুরুতে ভারতের বোলিং ইনিংস শুরু করতেন ইরফান। সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড় অধিনায়ক থাকার সময় নতুন বল তুলে দিতেন বাঁহাতি পেসারের হাতে। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর নতুন বলের দায়িত্ব তার কাঁধে আর থাকেনি। যেটা সাফল্য পেতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলেছেন ইরফান, ‘আমি সবসময় দুঃখ পাই যে, মানুষ আমার বিরুদ্ধে সংখ্যাকে (পরিসংখ্যান) দাঁড় করায়। কিন্তু সংখ্যা সবসময় সঠিক তথ্য দেয় না। আপনি দেখুন, প্রথম ৫৯ ওয়ানডেতে আমি নতুন বলে বোলিং করেছি। আপনি যখন নতুন বলের বোলার, তখন আপনার অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। কিন্তু প্রথম চেঞ্জে আক্রমণে আসলে খানিক রক্ষণাত্মক বোলিং করতে হয়। তখন দায়িত্ব থাকে রান আটকানোর। যা সংখ্যার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে।’

বিজ্ঞাপন

পরিসংখ্যানও তেমন কথাই বলছে। ২০০৩ সালে অভিষেক হওয়া ইরফানের কাঁধে নতুন বলের দায়িত্ব ছিল ২০০৬ সাল পর্যন্ত। ততোদিনে ৬৯ ওয়ানডে ম্যাচে ২৪.৭৮ গড়ে উইকেট পেয়েছিলেন ১১৩টি। নতুন বলে বোলিং করতে না পারাতে পরিসংখ্যান পাল্টে যায়। পরে ৫১ ম্যাচে উইকেট পেয়েছিলেন মাত্র ৬০টি। একটা সময় দল থেকে ছেটেই ফেলা হয় ইরফানকে। ওয়ানডের পাশাপাশি ২৯ টেস্টে ১০০ ও ২৪ টি-টোয়েন্টিতে ২৮ উইটেক আছে তার ঝুঁলিতে।

অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান ভারতীয় ক্রিকেটার ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর