মাশরাফির জন্য দোয়া চাইছেন সতীর্থরা
২০ জুন ২০২০ ১৮:৪৪
শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা। নিজের নির্বাচিত অঞ্চলকে করোনামুক্ত রাখার জন্য ছোটুছুটি করেছেন। ক্রিকেটীয় স্মারক নিলামে তুলে করোনায় আর্থিকভাবে বিপদে পড়া মানুষদের সহযোগিতা করেছেন। নিজের গড়া ফাউন্ডেশন থেকে বিভিন্ন জায়গায় সহযোগিতা করছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে নিয়মিত জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। করোনাযোদ্ধা মাশরাফি এবার নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন ভাইরাসটিতে।
দেশের অন্যতম সেরা ‘সেলেব্রেটি’র এমন খবরে স্বাভাবিকভাবেই মন কাঁদছে অনেকের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢু মারলেই তা বুঝা যায়। দ্রুত আরোগ্য লাভের দোয়া করা হচ্ছে সর্বোত্র। প্রিয় ‘ম্যাশ’র সুস্থতা কামনায় দোয়া করছেন এবং দোয়া চেয়েছেন তারকা ক্রিকেটাররাও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাশরাফির সঙ্গে নিজেদের ছবি পোস্ট করে সুস্থতার দোয়া করছেন ক্রিকেটাররা। অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন লিখেছেন, ‘দোয়া করি, আল্লাহ আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলুন ম্যাশ ভাই।’ তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার মাশরাফির সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘শক্ত হও চ্যাম্প’।
টপ অর্ডারের অপর ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস লিখেছেন, ‘দ্রুত সুস্থতার প্রার্থণা করছি।’ তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘ইনশাআল্লাহ সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে ভাই। মহান আল্লাহ হেফাজত করুক। সবাই মন থেকে দোয়া করবেন প্লিজ।’
তরুণ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ লিখেছেন, ‘আল্লাহ আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলুন।’ সাব্বির আহমেদ ‘দুঃখের’ ইমোটিকন ব্যবহার করে লিখেছেন, ‘মাশরাফি ভাই করোনাভাইরাসে পজিটিভ হয়েছেন। দয়া করে সবাই প্রিয় ম্যাশের জন্য দোয়া করুন।’ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত লিখেছেন, ‘মাশরাফি ভাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাকে দ্রুতই সুস্থ করে তুলবেন।’
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে হালকা জ্বর অনুভব করছিলেন মাশরাফি। সন্দেহবশত শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন তিনি। শনিবার ফল পাওয়া গেলে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। মাশরাফির ছোটভাই মোরসালিন বিন মুর্ত্তজা সারাবাংলাকে বলেছেন, ‘এখন ভালো আছেন তিনি। তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। হালকা জ্বর আছে, তাছাড়া কোনো উপসর্গ নেই। ভাইয়া ঢাকার বাসাতেই আছেন’।
মাশরাফি কদিন আগে সারাবাংলাকে জানিয়েছিলেন, ‘আমার পরিবারের তিনজন করোনায় আক্রান্ত।’