ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যতথ্য জানাবে ‘কোভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ’
২৫ জুন ২০২০ ১৫:৪১
ঢাকা: দেশের করোনা পরিস্থিতির যে বেহাল দশা তাতে কারো স্বাস্থ্য নিয়েই এই মুহূর্তে বিন্দুমাত্র স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা হওয়ায় করোনাকালে ক্রিকেটাররা কেমন আছেন? কেউ কি আক্রান্ত হলেন? এমন উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়েই হয়ত তাদের যেতে হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত বিষয়ের নির্দেশনা দেওয়ার ব্যাপারটি তো আছেই।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লাল সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই সংস্থা নিয়ে এসেছে ‘কোভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ’। যে অ্যাপের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের একটি কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত করা হবে। এবং তাদের দেওয়া তথ্য সেই সার্ভারে জমা হবে। দেওয়া তথ্য যাচাই করে কারো সংক্রমণের কোনো ঝুঁকি পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বিসিবির চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সারাবাংলাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
তিনি বলেন, ‘এই অ্যাপের মাধ্যমে প্লেয়ারদের করোনাভাইরাসকালীন অবস্থা আমাদের জন্য জানা সহজ হবে। কেননা আমাদের পক্ষে ক্রিকেটারদের প্রতিদিন ফোন করা সম্ভব নয়। আপাতত বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন এমন এবং এর বাইরে ৭০ জন ক্রিকেটার দিয়ে শুরু করব আমরা। পরবর্তীতে যদি প্রয়োজন হয় আমরা টিম ম্যানেজমেন্ট, বিসিবি ম্যানেজমেন্ট ও হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের মধ্যেও সম্প্রসারণ করব।’
আরও পড়ুন- সাইফউদ্দিন, বিপ্লব রেড জোনে
এদিকে বিষয়টি সবিস্তারে জানতে বিসিবির ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘এটি সম্পন্ন করেতে ক্রিকেটাররা প্রথমে নিজেদের মোবাইলে অ্যাপটি ডাউনলোড করবেন। এরপর সেখানে থাকা ১৮টি প্রশ্নের জবাব অ্যাপের মাধ্যমেই দেবেন- যা করতে ২০-২৫ সেকেন্ড সময় লাগবে। এই প্রশ্নের জবাবের প্রেক্ষিতে ক্রিকেটারদের রেড, ইয়োলো ও গ্রিন এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। যারা রেড জোনের আওতায় পড়বেন তাদের নাম ও তথ্য সঙ্গে সঙ্গে বিসিবির ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার সাব্বির খান ও প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে এসএমএস আসবে। এবং তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
নাসুর দেওয়া তথ্য মোতাবেক, আগামী তিন-চারদিন এই ৪০ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে কাজ করবে বিসিবি। এরপর এই অ্যাপের আওতায় আনা হবে অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে। এবং তারপর নারী ক্রিকেট দলকে। ‘এই মুহূর্তে আমাদের এই প্রক্রিয়ায় ৪০ জন ক্রিকেটার। তিন চার দিন এভাবে দেখব। এর পরে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে অনুর্ধ্ব-১৯ দল ও এর পরে নারী ক্রিকেট দলকে নিয়ে আসব।’ বলেন তিনি।
অ্যাপের মাধ্যমে লাল সংকেত পেলেই কি এটি নিশ্চিত হওয়া যাবে যে কোনো ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত? সারাবাংলার করা এমন প্রশ্নে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন, ‘অ্যাপটি লাল সংকেত দেওয়া মানে এই নয় যে কারো শরীরে করোনা আছে বা সে ন্যূনতম ঝুঁকিতে আছে। লাল সংকেতের মানে হলো ১৮টি প্রশ্নের কোনো একটি নেগেটিভ ছিল। হয়ত বা ওই সময়ে তার শ্বাসকষ্ট ছিল কিংবা রাতে তার ঘুম হয়নি। তখন অ্যাপটি লাল সংকেত পাঠাবে। এবং আমরা ওই প্লেয়ারের সঙ্গে কথা বলব, বিস্তারিত জানব এবং তারপরে চিকিৎসা দেব।’