বয়স সবে ২১, ক্যারিয়ার গড়ার এটাই তো সেরা সময়। মিরকো আনতোনুচ্চি সেই সুযোগ পেয়েছিলেনও। ইতালির ঐতিহাসিক ক্লাব রোমা থেকে ডাক এসেছিল তরুণ ফুটবলারের। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগানোর বদলে উটকো ঝামেলায় জড়িয়ে বিতর্কিত তরুণ ফুটবলার। রোমা থেকে ধারে খেলতে গিয়েছিলেন পর্তুগালের ক্লাব ভিতোরিয়ায়। ‘অসময়ে’ টিকটক ভিডিও বানিয়ে ঝামেলাটা বাঁধিয়েছেন সেখানেই। ভিতোরিয়া থেকে বিতারিতই হয়েছেন এই তরুণ ফুটবলার।
কিছুদিন ধরেই টিকটকে বেশ সক্রিয় দেখা গেছে আনতোনুচ্চিকে। মডেল বান্ধবীর সঙ্গে নিয়মিত বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করে বহু অনুসারী জুটিয়েছেন। তাতে হয়তো কারও আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে সময় অসময় ব্যাপারটা বুঝবেন না— তা তো হতে পারে না!
গত সপ্তাহে পর্তুগিজ লিগে বোয়াভিস্তার কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল ভিতোরিয়া। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা হেরে স্বাভাবিকভাবেই দলের সবার মন খারাপ। আন্তোনুচ্চির তাতে কী! বান্ধবীর সঙ্গে টিকটক ভিডিও বানিয়ে পোস্ট করে দিলেন। বিষয়টি একদমই মানতে পারেনি ভিতোরিয়া। ক্লাব সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমর্থকদেরও যখন মন খারাপ, তখন দলের একজন খেলোয়াড়ের এভাবে মৌজ-মাস্তির বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হয়েছে ক্লাবটির কাছে।
অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন আনতোনুচ্চি। তাতে মন গলেনি ভিতোরিয়া কর্তৃপক্ষের। তরুণ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে পর্তুগিজ ক্লাবটি।
এ বিষয়ে ভিতোরিয়া কোচ হুলিও ভেলাজকুয়েজ বলেন, ‘মিরকো আনতনুচ্চি এখন থেকে আর ভিতোরিয়ার খেলোয়াড় নয়। তার মূল ক্লাব রোমাকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমাদের মধ্যেকার চুক্তি শেষ। আমরা এমন কোনো খেলোয়াড়ের ওপর আস্থা রাখি না, যে কি না আমাদের সমর্থক ও ক্লাবের ইতিহাসের প্রতি সম্মান দেখায় না। এই ক্লাবের জার্সি পরা মানে পুরো ২৪ ঘণ্টা ক্লাবের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা।’
তরুণ ফুটবলারের এই আচরণ কতটা বিদঘুটে লেগেছে তা পরিষ্কার করেছেন ভেলাজকুয়েজ, ‘এখানে জটিলতার কিছু নেই। পরিস্থিতিটা খুবই সহজ। ক্লাব, ম্যানেজম্যান্ট, টেকনিক্যাল টিম ও অন্যান্য স্টাফরা একমত হয়েছে— একজন ধারে আসা খেলোয়াড়ের কাছ থেকে আমরা যেমনটা চাই, ঠিক তেমনটা পাইনি। আমাদের সমর্থকদেরও এমনটা প্রাপ্য ছিল না।’